চলতি বছর শুরুর দিকে দেশের প্রেক্ষাগৃহে ভারতের সিনেমার মুক্তির জোড় দাবি তোলা হয়। এর পক্ষে একমত দেয় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠন। আর বেশ কয়েক বছর ধরেই একই দাবি করে আসছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা। এবারের দাবিটা জোড় হাওয়া পায় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সমিতিগুলোর কারণে। যা লিখিত আকারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়।
অবশেষে সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই মর্মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
উপসচিব মো: সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই অনুমতিপত্রে জানানো হয়, সাফটা ভুক্ত দেশ হতে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত ১০টি সিনেমা বছরে আমদানি করা যাবে। বিপরীতে সমান সংখ্যক বাংলাদেশী সিনেমা রফতানি করতে হবে।
তবে সেটি আপাতত দুই বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে অনুমতি দেয়া হয়েছে। যা আমদানি ও রফতানি করতে পারবেন বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশকগণ।
যেখানে আরও বলা হয়, সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেই আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দেয়। মূলত সেই সূত্রেই ১০ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র আমদানি ও রফতানির এই সিদ্ধান্ত পাঠায় বিএফডিসিসহ সিনেমা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে।
এখানে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, আমদানি করা সিনেমাগুলো দুই ঈদ ও দুর্গাপূজার সপ্তাহে বাংলাদেশের কোনও প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা যাবে না। এর বাইরে সারা বছরই ছবিগুলো উন্মুক্ত রাখা যাবে দেশের প্রেক্ষাগৃহে। পাশাপাশি প্রতিটি ছবির সাব টাইটেল থাকতে হবে এবং সেন্সরবোর্ডের ছাড়পত্র নিতে হবে।
এদিকে, দেশের প্রেক্ষগৃহে ভারতীয় সিনেমা মুক্তির জোড় দাবি ওঠে বলিউড বাদশার নতুন সিনেমা ‘পাঠান’মুক্তির পরপরই। সাফটা চুক্তির আওতায় এটি দেশে মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্মাতা-প্রযোজক অনন্য মামুনের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। অবশেষে মুক্তির অনুমতি পাওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছে, ‘পাঠান’ দিয়ে দেশের বাজারে নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে।