চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রোববার ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
গত ১১ এপ্রিল কারা কর্তৃপক্ষকে আদালত আদেশ দিয়েছিলেন, ১৭ এপ্রিল আশিষ রায়কে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে। সে অনুযায়ী রোববার কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষে আবেদন অনুযায়ী আদালত আসামিকে গ্রেপ্তার দেখায়।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানামূলে গত ৫ এপ্রিল রাতে র্যাব-১০-এর অভিযানে রাজধানীর গুলশান থেকে আশিষ রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ২২ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল সোডা ওয়াটার, একটি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, দুটি আইফোন ও নগদ দুই লাখ টাকা।
ওই ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল রাতে আশিষ রায়ের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন র্যাব-১০-এর ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম। এরপর গত ৭ এপ্রিল গুলশান থানা পুলিশ আশিষ রায়কে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ১ নম্বর আসামি আশীষ রায়। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন। সবশেষ তিনি জিএমজি এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ছিলেন। সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।
১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
দীর্ঘ ২৪ বছর পর র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল ও র্যাব-১০-এর অভিযানে চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত এ হত্যা মামলার পলাতক আশীষ রায়কে গ্রেপ্তার করে র্যাব।