প্রচ্ছদ ›› বিনোদন

এটা আমাদের আরও অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেল: ফারুকী

বিনোদন ডেস্ক
৩০ মার্চ ২০২৩ ১৬:৪৯:২৩ | আপডেট: ১ year আগে
এটা আমাদের আরও অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেল: ফারুকী
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

ঢাকার সাভারে কর্মরত দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদক সামসুজ্জামানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ এবং মামলার এই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিষয়টি নজরে আসায় চুপ থাকতে পারেননি জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীরও।

স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরপর দুটি পোস্ট দিয়েছেন এই নির্মাতা। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করতে পারার নামই স্বাধীনতা।’

এদিকে, গতকাল বুধবার স্বাধীনতা দিবসে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন কল্যাণপুরের বাসিন্দা সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া।

ফারুকী বলেন, ‘যে বা যারা সাংবাদিক এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে জিনিসটা মামলা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন, জেনে রাখবেন এটা আমাদেরকে আরও অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেল। আমি ঐ খবরটা নিয়ে আলোচনায় আর না যাই। কারণ অনেক কথা ইতিমধ্যেই হইছে। শুধু এটুকু বলি, সংবাদ নিয়ে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হইতে পারেন। সেটা ডিল করার অনেক রাস্তাও আছে। সব বাদ দিয়ে যে রাস্তাটা বেছে নেওয়া হইলো, এটা দেশের জন্য ভয়ংকর। আর সরকারের পিআর অ্যাংগেল থেকেও যদি বলি, এই রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে “চাইল-ডাইল-মাংসের স্বাধীনতা চাই”- শ্লোগানটার মধ্যে আরও কয়েক হাজার গুন বেশী শক্তি ইনজেক্ট করা হইলো।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিলের দাবিতে নির্মাতা বলেন, ‘আশা করব, শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং এই অতি উৎসাহের রাশ টেনে ধরা হবে। এবং আবারও বলছি, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করেন! আমি সব সময় এই কথাটা বলি, ভাইয়েরা এবং বোনেরা আমার, আইন করার সময় এই জিনিসটা মাথায় রাখবেন যে, আইনটা আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োগ হলে আপনার অবস্থাটা কি হবে। মানে আপনি যখন ক্ষমতায় থাকবেন না তখন এই আইন আপনার কাছে কিভাবে ফিরে আসবে। এটা মাথায় রেখে যে আইন করা হয় সেটাই তুলনামূলক উত্তম আইন। কারণ মনে রাখবেন “চিরদিন কারো নাহি যায় সমান”! পৃথিবীতে আজীবন থাকে এই রকম কোনো সরকার আসে নাই এখনও।’

সবশেষে ফারুকী বলেন, ‘একটা স্বাস্থ্যকর সমাজে প্রেসের ভুল করার স্বাধীনতা থাকতে হবে। যদিও ছবি উলটপালট করা ছাড়া প্রথম আলোর রিপোর্টে ভুলটা কি আমি এখনও বুঝি নাই। রাস্তা ঘাটে মানুষতো বলতেছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে তাদের নাভিশ্বাস উঠছে। এমনকি স্বয়ং মন্ত্রীরাও বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে গেছে। তো এই কথাটা কেনো এতো কড়া রিঅ্যাকশন ইনভাইট করল আমি বুঝলাম না। কিন্তু যদি প্রেস ভুলও করে তার রিঅ্যাকশন এইরকম রিপ্রেসিভ হইতে পারে না। কেন পারে না- সেটা জানতে গুগল করলে এই বিষয়ে অনেক ক্লাসিক লেখা পেয়ে যাবেন। যাই হোক, শেষ করি একটা কথা দিয়ে। সমাজে প্রশ্ন করার জায়গা থাকতে হবে। দ্বিমত করার জায়গা থাকতে হবে।’