প্রচ্ছদ ›› বিনোদন

২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী

ভক্ত হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন সালমান শাহ

বিনোদন প্রতিবেদক
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৩৪:৫৩ | আপডেট: ১ year আগে
ভক্ত হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন সালমান শাহ

১৯৯৬ সালের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সর্বকালের সেরা চিত্রনায়ক সালমান শাহ। মৃত্যুর ২৬ বছর পার হয়ে গেছে। এখনও ভক্তদের হৃদয়ে সমান জনপ্রিয় এ নায়ক।

আত্মহত্যা করেছেন সালমান শাহ। কিন্তু ভক্ত এবং তার পরিবার এখনও মানতে নারাজ সে কথা। তাদের দাবি, সালমান আত্মহত্যা করেনি। খুন করা হয়েছে তাকে। এ নিয়ে চলছে মামলা। ভক্তরা সালমানের মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রী সামিরাকেই দায়ী করেন। যার সুরাহা হয়নি এখনও। খুন কিংবা আত্মহত্যা-যাই হোক না কেন, সালমান শাহ নেই, এটাই ধ্রুব সত্য।

সালমান শাহকে দাফন করা হয়েছে সিলেটে শাহজালাল মাজারের কবরস্থানে। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছিল সিলেট শহরের দাড়িয়া পাড়ার নানার বাসায়। তাই মৃত্যুর পরও চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছেন প্রিয় শহরেই।

মৃত্যুবার্ষিকী এলেই নানার বাসার সামনেই ভক্তরা তাদের প্রিয় নায়ককে স্মরণ করতে, প্রিয় নায়কের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি ছুঁয়ে দেখতে ভিড় জমান। দূর-দূরান্ত থেকে আসেন তারা। প্রিয় নায়কের কবর জিয়ারত করে, তার শৈশব কৈশোরের স্মৃতির সঙ্গে ভক্তরাও যেন মিলেমিলে একাকার হয়ে থাকতে চান। হয়তো কারও চোখে তখন দু’ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়ে।

ঢাকাই সিনেমার ইতিহাস সৃষ্টিকারী নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। তার অভিনীত সিনেমার গান শ্রোতাদের কানে বাজে, কণ্ঠে ওঠে। শুধু অভিনয়েই নয়, সালমান ছিলেন ফ্যাশন সচেতন।

সালমানের মৃত্যুর এত বছর পরেও বাংলা সিনেমাতে অনেক নায়কের আবির্ভাব হলেও অভিনয় আর ফ্যাশন দিয়ে আর কোনো নায়ক আজ পর্যন্ত সালমান শাহর জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। কোনো নায়কের মৃত্যুর এত বছর পরেও ভক্তদের হৃদয়ে এতটা ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকার দৃষ্টান্ত পৃথিবীর আর কোনো দেশের কোনো নায়কের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।

সালমান শাহর জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। সালমানের দাদার বাড়ি সিলেট শহরের শেখঘাটে আর নানার বাড়ি দারিয়া পাড়ায়। নানার বাড়ির নাম এখন ‘সালমান শাহ হাউস’। তার নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সিনেমা ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানও তাই সেই নানার কারণেই আসা।

স্কুলে পড়ার সময় সালমান শাহ বন্ধুমহলে সংগীতশিল্পী হিসাবে বেশ পরিতি ছিলেন। ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে দীক্ষা নেন। সিনেমায় আসার আগেই ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী ছিলেন সামিরা হক।

সিনেমায় আসার আগে তিনি নাটকে অভিনয় করেন। ধারাবাহিক ‘পাথর সময়’ নাটকে একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু। পরে আরও বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেও দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন সালমান।

এরপর ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয় করেই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পান তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন।