অনিয়মিত জীবনযাপন আর ব্যস্ততার মাঝে বেশির ভাগ মানুষের কাছে স্লিম ফিগার এখন স্বপ্নের মতো। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে একটু সচেতন হলে, সহজে মেদ কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
পেটের মেদ বৃদ্ধি সমস্যা স্বাস্থ্যের পক্ষেও বেশ ক্ষতিকর। এর মধ্যে ডায়েবিটিস, প্রেশার, কোমর-হাঁটু ও বুকে ব্যাথা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, শ্বাসকষ্টের মতো বহু শারীরিক সমস্যার সঙ্গেও অতিরিক্ত ওজন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
পেটে মেদ কেন হয়-
আমরা সারাদিন যেসব খাবার খাই, তা থেকে আমাদের শরীরে কাজ-কর্ম করার শক্তি আসে। তবে কাজের ব্যস্ততা বা চাপের কারণে বেশিরভাগ সময় আমরা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি। অথচ সারাদিন অফিসে বসে কাজ করা বা শারীরিক কসরত না করার ফলে সেই ক্যালোরি খরচ হয় না। ফলে সেই অতিরিক্ত খাবার, ফ্যাট বা গ্লুকোজ শরীরে জমে যায়। সেই থেকে মেদ বাড়তে শুরু করে।
অর্থাৎ উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারে পেটের মেদ বাড়ায়। শুধু তাই নয়, বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবারেও পেটের মেদ বাড়াতে পারে। এ জন্য অনেকে জিমে গিয়ে বা ডায়েট কন্ট্রোল করেও ভুঁড়ি কমতে চায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে জিন বা হরমোনগত সমস্যার কারণে ওজন কমানো বা মেদ কাটানো কঠিন হয়ে ওঠে।
মেদ কমানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি-
১. মেদহীন সুস্থ শরীরের মূল শর্ত পরিমিত আহার, সেই সাথে নিয়মিত ব্যায়াম।
২. খাওয়ার সময় পেট পুরে না খাওয়া। এতে খাবার ভালো হজম হবে। অতিরিক্ত ক্যালরির সমস্যাও হবে না।
৩. সারা দিনের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি রাখুন। ছোট মাছ খান, প্রচুর শাকসবজি ও ফল রাখতে পারেন।
৪. বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত তেল-মসলা, ঘি-মাখন এড়িয়ে চলুন। ফাস্টফুড, ডিপ-ফ্রাই করা খাবার, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস, অ্যালকোহল না খাওয়াই ভালো। হালকা নাস্তার তালিকায়- ফল, স্যালাড, টক দই ইত্যাদি রাখতে পারেন।
৫. ভাত, ময়দা ও চিনি কম খান। সম্ভব হলে- ঢেঁকি-ছাঁটা চালের ভাত খান। আটার রুটি খান। চা-কফিতে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন।
৬. ব্যস্ততার কারণে যদি জিমে যাওয়া সুযোগ না হয়, তাহলে বাড়িতেই শরীরচর্চা করুন। প্রতি সকালে শরীরচর্চার জন্য অন্তত আধাঘণ্টা সময় রাখুন। স্কিপিং, বুক ডাউন, পুশ-আপের মতো ব্যায়াম করুন। তবে কোন অভিজ্ঞতা না থাকলে শরীরচর্চা শুরুর আগে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
৭. মেদ কমাতে না খেয়ে খালি পেটে থাকেন অনেকে। সেটি খুবই ভুল ধারণা। অল্প পরিমাণে বারবার খান।