মহামারি করোনভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রনের সংক্রমণে ছেয়ে গেছে পুরো বিশ্ব। নতুন এ ভাইরাসের উপসর্গগুলো সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতো। দেখা যাচ্ছে, অনেকের কাশি হলে থামছেই না। আবার কারও দুদিনের জ্বরের পর আর কোনো উপসর্গই নেই।
করোনার এই সময়ে রোগীরা বেশ ধোঁয়াশায়। কখন যে সাবধান হবেন, আসলে বুঝেই উঠতে পারছেন না। সামান্য সর্দি কি আদৌ করোনার লক্ষণ, নাকি জ্বর আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, এমন নানা প্রশ্ন ঘিরে ধরছে।
করোনার ডেল্টা ধরনের সংক্রমণের থেকে ওমিক্রনের সংক্রমণ একেবারেই আলাদা বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
আসুন জেনে নিই ওমিক্রনের ১৪টি উপসর্গ। কোনটি কত বেশি দেখা যাচ্ছে, সেটাও জেনে নেওয়া যাক-
১. নাক দিয়ে পানি পড়ার প্রবণতা ৭৩ শতাংশ
২. মাথাব্যথা ৬৮ শতাংশ
৩. ক্লান্তি ছাড়ছে না প্রায় ৬৪ শতাংশ
৪. হাঁচি হচ্ছে ৬০ শতাংশ রোগীর
৫. গলা ব্যথাও হচ্ছে ৬০ শতাংশ
৬. খুব কাশি হচ্ছে ৪৪ শতাংশ
৭. গলা ভেঙে যাচ্ছে ৩৬ শতাংশ
৮. কাঁপুনি হচ্ছে ৩০ শতাংশ
৯. জ্বর আসছে ২৯ শতাংশ
১০. মাথা ঝিমঝিম করার প্রবণতা ২৮ শতাংশ
১১. মস্তিষ্কে ধোঁয়াশার প্রবণতা ২৪ শতাংশ
১২. ২৩ শতাংশের পেশীতে ব্যথা, টান ধরছে ২৩ শতাংশ
১৩. গন্ধের অনুভূতি হারাচ্ছেন মাত্র ১৯ শতাংশ
১৪. বুকে ব্যথাও হচ্ছে ১৯ শতাংশ রোগীর।
গত বছরের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় আবিষ্কারের পর ওমিক্রন দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে এলেও নতুন বছরের শুরুতে ওমিক্রনের দাপটে বিপর্যয় আবারও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দেশ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ফের কঠোর পদক্ষেপ জারি করছে, বন্ধ করে দিচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।