স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখনও করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের প্রাধান্যই বেশি, তবে ওমিক্রন ধরন সেই জায়গা একটু একটু করে দখলে নিচ্ছে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘দেশে ডেল্টা এখনও প্রিডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু একটু একটু করে ওমিক্রন সে জায়গা দখল করে নিচ্ছে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, এখন সিজনাল যে ফ্লু হচ্ছে তার সঙ্গে ওমিক্রনের মিল রয়েছে। ওমিক্রনের যে উপসর্গগুলো আছে, শতকরা ৭৩ শতাংশ মানুষের নাক দিয়ে পানি ঝরছে। ৬৮ শতাংশ মানুষের মাথা ব্যথা করছে। ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্ন-ক্লান্তি অনুভব করছেন। ৭ শতাংশ রোগী হাঁচি দিচ্ছেন। গলাব্যথা হচ্ছে ৭ শতাংশ রোগীর। ৪০ শতাংশ রোগীর কাশি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
ওমিক্রনে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়াও বাড়ছে জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা যদি প্রতিদিন বাড়তে থাকে আর স্বাস্থ্যবিধি যদি অমান্য করে নিজের মতো করে চলতে থাকলে রোগী সংখ্যা আরও বাড়বে এবং সেটা সামগ্রিকভাবে পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ ফেলবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ২২ জানুয়ারি এসে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে (১৬ জানুয়ারি) যেটা ছিল ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।