প্রচ্ছদ ›› স্বাস্থ্য

এখন থেকে ৩০ সরকারি হাসপাতালে মিলবে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা

২৭ মার্চ ২০২৩ ১৯:৪৩:৫৭ | আপডেট: ১ year আগে
এখন থেকে ৩০ সরকারি হাসপাতালে মিলবে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৩০ মার্চ থেকে পাইলটিং প্রক্রিয়ায় দেশের ১০টি জেলা ও ২০ উপজেলা হাসপাতালে সকালের পাশাপাশি বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মিলবে চিকিৎসা সেবা। সেই সাথে একই সময়ে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা যাবে।

দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইনস্টিটিউশনাল প্রাকটিস নীতিমালা-২০২৩ চূড়ান্তকরণ সংক্রান্ত একটি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,“সরকারি হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চিকিৎসকরা বিনামূল্যে রোগী দেখেন। এতে বিকেলে বহু মানুষ চিকিৎসা নিতে না পেরে বাইরে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে দেখান। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের ‘ফি’ বেশি হওয়ায় দেশের মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বৃৃদ্ধি পায়।”

সভায় মন্ত্রী জানান, মানুষের চিকিৎসা ব্যয় কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেসব বিষয় নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়েছে। দেশের সব বিভাগে গিয়ে জেলা, উপজেলা হাসপাতালে সেবার মান যাচাই করা হয়েছে।

সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবায় চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের সম্মানী ফি নির্ধারণ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অধ্যাপক পর্যায়ে ফি ৪০০ টাকা তার সাথে সহযোগী ২ জন পাবে পঞ্চাশ টাকা করে। সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালটেন্টরা পাবেন ৩০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক বা জুনিয়র কনসালটেন্ট বা সমপর্যায়ের চিকিৎসকগণ পাবেন ২০০ টাকা করে তাদের সহযোগী ২ জন পাবেন ৫০ টাকা করে। এর পাশাপাশি হাসপাতালে রোগীদের সার্জারী, ডায়াগনস্টিক/ ক্লিনিক্যাল/ প্যারা-ক্লিনিক্যাল টেস্টসহ বিভিন্ন রকম পরীক্ষার জন্যও বৈকালিক ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। 

সরকারি চিকিৎসকদের সপ্তাহে কয়দিন করে ডিউটি থাকবে সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, একজন চিকিৎসককে সপ্তাহে মাত্র ২দিন অতিরিক্ত ৩ ঘন্টা করে সেবা দিতে হবে। তবে এই সেবা যাতে সপ্তাহে অন্তত ৬ দিন পাওয়া যায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

চিকিৎসকরা অতিরিক্ত ৩ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে প্রসঙ্গে সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, চিকিৎসকরা সহ সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি সেবা দানের জন্য সরকারের প্রয়োজন হলে ২৪ ঘন্টা সেবা দিতে হবে। এটিই নিয়ম। সেক্ষেত্রে সকল পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।