প্রচ্ছদ ›› স্বাস্থ্য

কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা

টিবিপি ডেস্ক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪১:১০ | আপডেট: ৭ মাস আগে
কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা

গত এক মাস ধরে তীব্র ঘাটতির কারণে স্বল্পমেয়াদী তরল প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় ডেক্সট্রোজ এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড (ডিএনএস) স্যালাইন সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল।

জেলাটিতে স্যালাইনের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

সরকারি হাসপাতালসহ বাইরের ফার্মেসিগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন। কিছু ফার্মেসিতে পাওয়া গেলেও ১০০ টাকা মূল্যের ডিএনএস স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। ফলে রোগীসহ স্বজনরাও পড়ছে চরম বিপাকে।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শিশু বাদে হাসপাতালে দুই শতাধিক নতুন রোগী ভর্তি হন।

২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন চার শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। এসব রোগীর জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকারের কমপক্ষে ২০০ স্যালাইন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এসব স্যালাইনের সরবরাহ নেই।

সরকারি হাসপাতালে এসব স্যালাইন সরবরাহ করে থাকে এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। কিন্তু কয়েক মাস ধরে চাহিদা অনুযায়ী তারা স্যালাইন দিচ্ছে না। ফলে হাসপাতালে স্যালাইনের তীব্র সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন মো. ইউনুস আলী বলেন, আমি আমার ছেলে গত দু’দিন ধরে পেট ব্যথা ও জ্বরে ভুগছে। সকালে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতালের ডিএনএস স্যালাইন না থাকায় বাইরে থেকে আনতে বলে। আমি শহরের অনেক ফার্মেসি খুঁজে ১০০ টাকা স্যালাইন ২০০টাকা দামে কিনলাম। স্যালাইনের এমন সংকট কোনো দিন শুনি নাই।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি তারা বলেন, হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট চলছে। রোগীরা বাইরে গিয়েও স্যালাইন পাচ্ছেন না। অথচ কোনো দুর্ঘটনা, পেটব্যথা, রক্তক্ষরণ কিংবা অপারেশনের রোগীর জন্য স্যালাইন অত্যাবশ্যক।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, স্যালাইনের সংকট চলছে। আমরা হিমশিম খাচ্ছি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। আমদের চাহিদা অনুযায়ী খুবই কম পরিমাণ সরবরাহ দেওয়া হয়। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে সংকট কেটে যাবে।

গাড়িয়াল পাড়া মোড়ের ওষুধ ব্যবসায়ী মো. এমদাদুল হক বলেন, ডিএনএস স্যালাইনের সাপ্লাই নাই। কোম্পানি স্যালাইন না দিলে আমরা কী করবো।

যে দুই থেকে চারটা স্যালাইন দেয় তা একঘণ্টাও দোকানে থাকে না। দিনভর রোগীর স্বজনরা দোকানে এসে ফেরত যান।

সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ বলেন, স্যালাইন সংকট চলছে। তবে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য আমরা কিছু স্যালাইন রেখেছি। বিভিন্ন মাধ্যম ও কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি যে, প্রায় অনেক জেলাতে এই সংকট চলছে। সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

সূত্র: ইউএনবি