দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। অমিক্রণের জেএন.১ নামের এ নতুন উপধরন পাঁচ ব্যক্তির শরীরে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
বৃহস্পতিবার আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, ৫টি নমুনায় অমিক্রনের উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার পর এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে।
গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে যে, করোনার অমিক্রন ধরনের জেএন.১ উপধরন বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে। ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে করোনার এ ধরনটি পাওয়া গেছে। দ্রুত ছড়ানোর কারণে ডব্লিউএইচও এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে ।
ডব্লিউএইচও’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শীতকালে কোভিড এবং অন্য সংক্রমণগুলোর প্রকোপ বাড়তে পারে। উত্তর গোলার্ধে ইতোমধ্যে আরএসভির মতো বিভিন্ন শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস এবং শিশুদের নিউমোনিয়ার হার বাড়তে দেখা গেছে। কোভিডের জন্য দায়ী ভাইরাসটি শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে রূপ পাল্টেছে। এর কয়েকটি ধরনও তৈরি হয়েছে। মাঝে কিছুদিন বিশ্বজুড়ে অমিক্রন ধরনের আধিপত্য দেখা গিয়েছিল।
ডব্লিউএইচও আরও বলেছে, করোনার নতুন ধরনটির সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কম এবং বিদ্যমান টিকাগুলোই এ ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ডব্লিউএইচও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো হলো-
১. জনাকীর্ণ ও বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরতে হবে।
২. কাশি বা হাঁচির সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
৩. কোভিড এবং টিকার নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে। বিশেষ করে, যাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন।
৪. অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন।
৫. লক্ষণ দেখা দিলে রোগ শনাক্তের পরীক্ষা করতে হবে।