রঙিন এ পৃথিবী মায়া ছাড়তে চায় না কেউই, বাঁচতে চায় দীর্ঘদিন। কিন্তু শুধু দীর্ঘায়ু চাইলেইতো হবে না, সেজন্য জীবন-যাপনে হতে হবে সুশৃঙ্খল, খেতে হবে মহৌষধীগুণে সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক কিছু খাবার।
আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে এমন চারটি খাবার রয়েছে আপনার হাতের কাছেই। নিয়ম করে এগুলো খেলে ১০০ পর্যন্ত সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।
তবে হ্যাঁ, শুধু এসব খাবার খেলেই যে দীর্ঘায়ু পাবেন, তা কিন্তু নয়। এর সঙ্গে কিছু বাজে অভ্যাসও ছাড়তে হবে। এর মধ্যে প্রথমেই বাদ দিতে হবে ধূমপানের বদভ্যাস, মদ্যপান থেকে থাকতে হবে দূরে। আর ভাল রাখতে হবে মন।
মানসিক চাপও কমিয়ে দেয় মানুষের আয়ু। দীর্ঘায়ু পেতে এগুলোর সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। অতিরিক্ত ভাজাভুজি, মিষ্টি এবং নোনতা খাবারও বাদ দিতে হবে। আর নিয়ম করে খেতে হবে কয়েকটি খাবার।
যেসব খাবার প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত আপনার আয়ু বাড়িতে দিতে পারে, এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে মধু
হৃদরোগ এবং ক্যানসারের আশঙ্কা অনেক খানি কমিয়ে দিতে পারে মধু। প্রতিদিন নিয়ম করে এক চামচ খাঁটি মধু খেলে এ রোগগুলোর আশঙ্কা অনেকটাই কমে আসবে। স্তন, যকৃত এবং অন্ত্রের ক্যানসারের আশঙ্কাও অনেক কমে মধু খেলে। দীর্ঘ দিন সুস্থ ভাবে বাঁচতে মধুর জুড়ি নেই।
দ্বিতীয়ত ছাগলের দুধ
ছাগলের দুধ সচরাচর না পাওয়া গেলেও এ দুধের এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলো ক্যানসার প্রতিহত করতে বেশ সহায়ক। যে নারীরা নিয়মিত ছাগলের দুধ পান করেন, তাদের স্তনের ক্যানসারের আশঙ্কা অনেকাংশেই কমে যায়।
তৃতীয় খাদ্যোপাদান হলো বেদানা
দীর্ঘায়ু চাইলে খেতে পারেন বেদানা। নানা ভিটামিন সমৃদ্ধ এ ফলটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। বেদানা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এটির কয়েকটি উপাদান পেশির ক্ষয়ের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিতে পারে। এ ছাড়াও বার্ধক্যজনিত নানা অসুখ, স্নায়ুর নানা সমস্যাও কমিয়ে দিতে পারে বেদানা। আর তাই নিয়মিত একটি করে বেদানা খেলে আপনার শরীরে খুব শিগগির পড়বে না বার্ধক্যের ছাপ।
চতুর্থটি হলো কাঁচকলা
দীর্ঘায়ু পেতে দারুণ কাজ করে কাঁচকলা। রক্তচাপের কারণে অনেকেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। কাঁচকলা নিয়মিত খেলে এ সমস্যা কমে আসে। কারণ এটির নানা উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়াও কিডনির ক্যানসারও প্রতিহত করতে পারে কাঁচকলার বেশ কয়েটি কয়েকটি উপাদান।