প্রচ্ছদ ›› লাইফস্টাইল

শীতে যেভাবে সতেজ থাকবেন

ফিচার ডেস্ক
১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৪৭:৫৪ | আপডেট: ৩ years আগে
শীতে যেভাবে সতেজ থাকবেন

চলছে ডিসেম্বর মাস, প্রকৃতিতে বইছে শীতল হাওয়া। দিন যত যাবে শীতের তীব্রতা তত বাড়তে থাকবে। উষ্ণ কম্বল, কফির স্বাদ, মৃদু উষ্ণ পানিতে স্নান আর বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাকের কারণে অনেকেই পছন্দ করে শীতকালকে। তবে শীত এলেই মানুষের ত্বকে রুক্ষভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন ত্বকের সতেজতা ধরে রাখতে প্রয়োজন পড়ে বাড়তি যত্নের।

নিয়মিত কিছু যত্ন নিলেই আপনার ত্বক আর শুষ্ক হবে না। শীতেও আপনি থাকবেন সতেজ। আসুন জেনে নিই সেগুলো কী-

১. প্রতিদিন ভোরে আধ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। আপনার ত্বক থাকবে লাবন্যময়।

২. শীতে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবানের পরিবর্তে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করুন। দুধ, ময়দা এবং ঘিয়ের মিশ্রণ একটি ভালো ক্লিনজার যা আপনার ত্বককে আর্দ্রতা থেকে বাঁচাবে।

৩. মুখে ভালো কোনো কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। পাকা কলা, পাকা পেঁপে, সয়াবিনের গুঁড়ো অথবা ময়দা পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে টানটান ভাব আসবে।

৪. মেকআপ ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে এবং ত্বকে হাইপার পিগমেন্টেশন করে ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়। তাই খুব প্রয়োজন না হলে মেকআপ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। 

৫. বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না। রোদে বের হলে সানব্লকার বা সান প্রটেকটিং ফ্যাক্টর ২৫ বা তার বেশি ব্যবহার করতে পারেন।

৬. ভ্যাসলিন সংগে রাখুন। ঠোঁট শুকিয়ে গেলেই ভ্যাসলিন মাখুন। ঠোঁটের শুষ্ক আবরণ টেনে তুলবেন না। জিভ দিয়ে বার বার ঠোঁট লেহন করবেন না। ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে রাতে ঘুমোতে যাবার আগে মধু এবং গ্লিসারিন একসাথে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন।

৭. প্রয়োজন অনুসারে গরম কাপড় ব্যবহার করুন। শরীরের উন্মুক্ত অংশগুলোকে ঢেকে রাখুন।

৮. ত্বকে ময়েশ্চারাইজার অথবা গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে মাখুন। সাইট্রাস ফল যেমন আপেল, কমলা, লেবু ইত্যাদির রস লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক সতেজ থাকবে।

৯. আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় এ সময় খুশকি বাড়ে। খুশকি কমাতে চুলের গোড়ায় হট অয়েল বা লেবুর রস ম্যাসাজ করতে পারেন। অথবা মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ভালো হয়। কিটোকোনাজল, অ্যালোভেরা বা টার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

১০. শীতে গোসলের সময় অত্যধিক গরম পানি ব্যবহার করবেন না। গরম পানি ত্বকের তেল শোষণ করে ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। তাই গোসলের সময় ত্বকের জন্য সহনীয় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও শীতকালে জ্বর, অ্যাজমা, গা-ব্যথা, অসাড় ভাবসহ নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়। শীতের এ মৌসুমে কিছু খাবার খেলে ও কিছু পরামর্শ মানলে সহজেই রোগব্যাধি এড়িয়ে চলতে পারবেন।

ব্যায়াম: শরীর ফিট রাখলে রোগব্যাধি দূরে থাকবে। শরীরে বিপাকপ্রক্রিয়া উন্নত হবে এবং রক্তপ্রবাহ বাড়বে। শরীরকে উষ্ণ ও কর্মক্ষম রাখতে শীতের সময় নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।

ফল ও সবজি: শীতকালে বাজারে প্রচুর সবজি পাওয়া যায়। পুষ্টিকর খাবার সব সময়ই শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ সময় তাই বেশি করে শাকসবজি খেতে হবে। যেসব খাবারে ভিটামিন সি ও জিংক বেশি আছে তা এ সময় বেশি করে খান। এছাড়া লেবুজাতীয় ফল ও রসুন বেশি করে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, জোগাবে শক্তি।

শরীরকে আর্দ্র রাখুন: শীতের সময় অনেকেই পানি কম খান। কিন্তু এ সময় শরীর আর্দ্র রাখতে প্রচুর পানি পান করা উচিত। শীতের সময় শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। এ কারণে শরীরে চুলকানি, খসখসে ত্বকের মতো সমস্যা হয়। শীতের এই শুষ্কতা দূর করতে শুধু বাইরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলেই হবে না, ভেতর থেকে শরীরকে আর্দ্র করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রচুর পানি পান করার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর ফল ও শাকসবজি খেলে শরীর আর্দ্র থাকে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন: শীতের সময় বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন। এ সময় বাতাসে নানা রকম রোগজীবাণু থাকতে পারে। ঘরে-বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন, শীতের সময় নিয়মিত হাত ধুয়ে তারপর কিছু খাবেন।