বর্তমানে কথায় আমরা একটি ‘ইগো’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। কার ইগো বেশি কার কম; কার নেই অফিস-আদালত বন্ধুমহল সবখানেই এ নিয়ে চলে আলোচনা।
কিন্তু আমরা প্রকৃতপক্ষে কতজন জানি ইগো আসলে কী?
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন; ইগো হলো নিজের প্রতি অতি মাত্রায় উঁচু ধারণা। নিজে যা না নিজেকে তাই মনে করা। অপরদিকে আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান হল নিজের সত্যিকার যোগ্যতার প্রতি বিশ্বাস। একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ কোনও কিছু না জানলে বা না পারলে তা স্বীকার করে নেন। যা ইগো আক্রান্ত ব্যক্তিরা কখনেই করেন না।
মনোবিজ্ঞানী নিকোল ল্যাপারার দেয়া টিপস অনুযায়ী ইগো সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হল:
নিজেকে সর্বদা বড় ভাবা
ইগোতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজেদের সর্বদা বড় ভাবে কারণ তাদের নিজেদের উপর থাকে অস্বাভাবিক বিশ্বাস। তারা নিজেদের সব সময় সঠিক ভাবে। তারা বিশ্বাসই করতে চায় না যে তাদের কোনও ভুল হয়েছে বা হতে পারে।
নিজেকে বেশি জ্ঞানী ভাবা
কোনও বিষয়ে প্রকৃত জ্ঞান না থাকলেও তারা নিজেদের বেশি জ্ঞানী ভাবেন তারা।
তর্কে হার মানে না
যেহেতু তারা নিজেদের সর্বদা বড় ভাবে তাই তারা ভাবে তর্কে হেরে যাওয়া মানে ছোট হয়ে যাওয়া। সেই ছোট হওয়ার ভয় থেকেই তারা কোনও যুক্তি বুঝতে চায় না। যেকোনও পরিস্থিতিতে তারা জিততে চায়।
নিজের ভুল স্বীকার না করা
মানুষ মাত্রই ভুল। কিন্তু যেহেতু ইগোতে আক্রান্তরা নিজেকে অন্যের থেকে বড় ও সঠিক ভেবে থাকে তাই তারা নিজের ভুলের জন্য অন্যের কাছে ক্ষমা চায় না এবং ক্ষমা চাওয়াকে তারা লজ্জাজনক মনে করে।
অন্যের দোষ খুঁজে তাদের খোটা দেয়া
ইগোতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের ভুল তো স্বীকার করেই না বরং অন্যের ভুল খুঁজে অন্যকে খোটা দিয়ে নিজেকে বড় প্রমাণ করতে পারবে সেই চিন্তায় থাকে।