প্রচ্ছদ ›› লাইফস্টাইল

কোনো তিক্ততা ছাড়াই যেভাবে বেরিয়ে আসবেন প্রেমের সম্পর্ক থেকে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:১৪:১২ | আপডেট: ১ year আগে
কোনো তিক্ততা ছাড়াই যেভাবে বেরিয়ে আসবেন প্রেমের সম্পর্ক থেকে

জীবনের বিভিন্ন সময়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেকে। কিছু সম্পর্ক বহু বছর টিকে যায়, কিছু সম্পর্ক কয়েক মাস গড়িয়েই থেমে যায়। ইদানিং অনলাইনে প্রেমে পড়ার ঝোঁক বেড়েছে। অনলাইনে প্রেম, তার পর মেলামেশা, ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই পরস্পরের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন কেউ কেউ। ভাবতে থাকেন কীভাবে বেরিয়ে আসবেন এ সম্পর্ক থেকে। 

কিন্তু যখন এই সম্পর্কগুলি ভেঙে যায়, যখন হঠাৎ করে এক দিন সকালে উঠে সেই ভালবাসার মানুষটিকে আর ‘নিজের’ বলা যায় না, সেই সব মুহূর্তের বিহ্বলতা হয়তো কমবেশি সকলকেই তাড়া করেছে কখনও না কখনও। কিছু কিছু ক্ষত সারা জীবন থেকে যায়, আবার কিছু ক্ষত হালকা হয়ে এলেও মাঝে মধ্যে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয়। কোনও অপমান বা একে অপরের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নয়, অনেক সময় অজান্তেই দূরত্ব চলে আসে দু’জনের মধ্যে।

এই দুরত্বগুলিই সম্পর্কে থাকা মানুষদের মধ্যে দেওয়াল তোলে, সেই থেকে মনে বাসা বাঁধে ক্লান্তি, ভাবনা আসে বিচ্ছেদের! সম্পর্কে বিচ্ছেদ চাই— এই কথা বলাটা সহজ নয়। সুষ্ঠুভাবে বিচ্ছেদ চাইলে কোন কোন কথাগুলি মাথায় রাখবেন?

১) সম্পর্ককে যদি ‘বোঝা’ বলে মনে হয়, তবে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই শ্রেয়। সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায় চলে যাওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিন। সঙ্গীকে খুলে বলুন, আপনি এই সম্পর্কে আর থাকতে পারছেন না।

২) তিক্ততা দিয়ে সম্পর্ক শেষ করবেন না। সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলুন, তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলি সত্যিই সুখের ছিল। কিন্তু ইদানিং আর আপনি সম্পর্কের উষ্ণতার আঁচ অনুভব করতে পারছেন না।

৩) সম্পর্কে থাকাকালীন অনেক সময়ই একে অপরের প্রতি এক ধরনের অধিকারবোধ জন্মে যায়। কিন্তু বিচ্ছেদের পরে তেমন ঘনিষ্ঠতা থেকে যাওয়া মুশকিল। তাই কিছু বিষয়ে আপনার এবং তাঁর নিজস্ব পরিধির ব্যাপারে সচেতন থাকাই ভাল। বিচ্ছেদের পর ভাল বন্ধু হওয়াই যায়, তবে বন্ধুত্বের সম্পর্কে যেন কোনও পিছুটান না থাকে।

৪) বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বলেই রাগ বা খারাপ লাগা থেকে আরও পাঁচজনকে আপনার প্রাক্তনের ব্যাপারে কিছু বলা কখনই কাঙ্ক্ষিত নয়। যদি আপনি বন্ধুত্বের সম্পর্কে আসতে চান, তাঁর আত্মমর্যাদাকে সম্মান করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্ক থাকুক বা না থাকুক, এই সম্মানের জায়গাটি যেন সব সময়েই অক্ষুণ্ণ থাকে, সে কথা মনে রাখতে হবে।