প্রচ্ছদ ›› লাইফস্টাইল

আজ বিশ্ব চা দিবস

কয় কাপ চা খাবেন আজ?

টিবিপি ডেস্ক
২১ মে ২০২৩ ১৪:৫৯:১৫ | আপডেট: ১১ মাস আগে
কয় কাপ চা খাবেন আজ?
সংগৃহীত ছবি

দিনের শুরুতে কিংবা অফিসের ক্লান্তিতে এক কাপ চা-ই আমাদের ভরসা। আবার প্রিয়জন বা বন্ধু আড্ডায় এক চুমুক চা ছাড়া যেন চলেই না।

প্রতি বছর ২১ মে পালিত হয় বিশ্ব চা দিবস। তাই বলা যায়, আজকের দিনটি চা প্রেমীদের দিন। ন্যাশনাল টুডে’র তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে মানুষ ২৫ হাজার কাপ চা পান করেন। অর্থাৎ প্রতিদিন দুই বিলিয়ন কাপেরও বেশি চা পান করা হয়। আন্তর্জাতিক চা দিবসে আপনি আজ কয় কাপ চা খাবেন?

বিশ্বে জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে চা অন্যতম। এর বিভিন্ন প্রকার আছে এবং এর পুষ্টিগুণও অনেক। পুষ্টিবিদদের মতে, চায়ে আছে মূল্যবান প্রাকৃতিক উপাদান ফ্লুরাইড, যা শরীরকে তাজা রাখতে সাহায্য করে এবং এটি হাড়ের গঠনের পাশাপাশি দন্তক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করে।

২০০৫ সালে চা উৎপাদনকারী দেশগুলো এক হয়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে। এই দেশগুলো হলো- শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডা। পরে ২০১৯ সালে ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ চা দিবসকে হ্যাঁ বলে। ২০২০ সালের ২১ মে জাতিসংঘ প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব চা দিবস পালন করে।

ধারণা করা হয়, বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চা-খোরদের সংখ্যাও বাড়বে। ভারত ও চীনে চায়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। চা পানে এই দুটি দেশ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশ অবদান রাখে।

চা এসেছে মূলত চীন থেকে। চায়ের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে চীনা রাজা শেন নংয়ের গল্পটা বেশ চমকপ্রদ। খ্রিষ্টপূর্ব আনুমানিক ২৭৩৭ সালের দিকের কথা, ঔষধি গাছের খোঁজে বনের জানা-অজানা গাছের বাকল আর পাতা চিবিয়ে স্বাদ নিচ্ছিলেন রাজা। একসময় তিনি বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সেসময় বাতাসে ভেসে একটি পাতা তার মুখে পড়ে। সেই পাতা চিবিয়ে দ্রুতই সুস্থ হয়ে ওঠেন শেন। সে পাতাটিই ছিল নাকি চা-পাতা!

আজ থেকে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে যে চীনে চায়ের চাষ শুরু হয়েছিল। তবে সে যুগে চা কিন্তু পানীয় হিসেবে পান করা হতো না; চা-পাতাকে শাক হিসেবে খাওয়া হতো! এভাবে গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। যদিও এই গল্প কতটা সত্যি তা বলা মুশকিল। কিন্তু, এটাতো সত্যি কথা যে- শত শত বছর ধরে মানুষ গরম চা পান করে আসছেন।

বছরের পর বছর ধরে চা নিয়ে নানান গবেষণা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গরম পানির সঙ্গে গুল্ম ও পাতা মিশিয়ে পান করা হয়েছে। কিন্তু চায়ের সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ গরম পানির সঙ্গে কয়েক টুকরো চা পাতার মিশিয়ে পান করা। এই পাতা ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। এশিয়ায় গরম চা পান শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। আর ষোড়শ শতাব্দীর আগে ইউরোপে চা প্রবেশ করতে পারেনি।

১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের মানুষ এই সুস্বাদু পানীয়টির প্রেমে পড়তে শুরু করেন এবং এটি আধুনিক শ্রেণির জনপ্রিয় পানীয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ব্রিটিশ ভারতে চায়ের উৎপাদন প্রবর্তিত হয়।