বাড়ির মধ্যে এই একটি ঘর, যেখানে একবার পা রাখলেই যাবতীয় চিন্তা-উদ্বেগ যেন এক নিমেষে উধাও হয়ে যায়। বাড়িতে বসে একমনে অফিসের কাজ করতে গেলেও ভরসা এই ঘরই। আবার যখন একান্তে বইয়ের পাতায় ডুব দিয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছা করে, তখনও এই ঘরের চেয়ে ভাল বিকল্প কোনও কিছু হতে পারে কি? পছন্দের ঘরকে অভিনব আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলে একটি নতুন চেহারা কিন্তু দিতেই পারেন।
কী ভাবে নতুন রূপে সাজাবেন পড়ার ঘর?
১) ঘরের কোণের কোনও দেওয়াল ফাঁকা পড়ে রয়েছে? তাহলে সেই কোণকে সাজান কিছু পছন্দের উদ্ধৃতি দিয়ে। তা গান হতে পারে, হতে পারে কবিতাও, যা দেখলেই মন ভাল হয়ে উঠতে বাধ্য!
২) ঘরের কোথাও কি একটু গাঢ় রং করিয়ে ফেলেছিলেন? পড়ার ঘর এমনই হওয়া উচিত, যা সব সময়ে আমাদের মনকে তরতাজা রাখবে। যে রং সহজেই মন ভাল করে দেয়, গাঢ় রং মুছে এই রকম রং করিয়ে নিন।
৩) ঘরের মেঝেটাও সুন্দর লাগতে হবে তো! পড়ার ঘরের জন্য কিনতে পারেন জ্যামিতিক মোটিফের কার্পেট কিংবা অন্যরকম নকশার মাদুর।
৪) অনেকেরই পড়ার ঘর খুব একটা বড় হয় না। তারা কিন্তু জায়গার সদ্ব্যবহার করতে মুড়ে রাখা যায় এই রকম আসবাব ব্যবহার করতে পারেন।
৫) পড়ার ঘরে বইয়ের তাক থাকবে না তাও কি হয়? তবে একরকমের বইয়ের তাক লাগালে ঘরে একটু একঘেয়েমি চলে আসতে পারে। তাই বাহারি তাক লাগাতে পারেন।
৬) ঘরের দেওয়াল ফাঁকা থাকলে সেখানে নানারকম ছবির ফ্রেম রাখতে পারেন। বিশেষ কোনও আঁকা কিংবা পছন্দের কোনও লেখকের ছবি ঘরের চেহারায় অন্য মাত্রা দেবে।