শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের কতোশত আয়োজন! আমরা নিয়মিত শরীর পরিষ্কার রাখি, সুষম খাদ্য গ্রহণ করি আরও কতো কি! শরীরের যত্ন চলছে ষোলো আনা, তাহলে মনের যত্নের বেলায় এতো অবহেলা কেন? শরীর আর মন তো পরস্পরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। তাই মনের যত্ন নেওয়াটাও ভীষণ জরুরি। মনমরা অবস্থা থেকে বের হতে যা করা যেতে পারে :
মনের কথা বলুন
মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মনের কথা বলা কিন্তু খুব জরুরি। রাগ, ক্ষোভ, হতাশা, দুঃখবোধ সবকিছুই অনেকটা কমে আসে ঠিকমতো কথা বলতে পারলে। তাই বন্ধু বা আত্মীয় যাকে আপনি আপন মনে করেন, তাকে মনের কথা খুলে বলুন। এ ক্ষেত্রে কাউন্সেলরেরও সাহায্য নিতে পারেন।
ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম করা আত্মবিশ্বাস ও মনোযোগ বাড়াতে কাজ করে। ব্যায়াম মস্তিষ্কসহ অন্যান্য অঙ্গ ভালো রাখতে উপকারী। পাশাপাশি এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নেরও সহায়ক।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
ভালোভাবে কাজ করার জন্য এবং সুস্থ থাকার জন্য মস্তিষ্কের পুষ্টি প্রয়োজন। আর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই পারে পুষ্টি জোগাতে। বাদাম, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন।
বেড়াতে যেতে পারেন
আপনি খুব কাজের মানুষ। এতে অসুবিধা নেই। তবে কাজের মধ্যেও কখনো কখনো একটু বিরতি দিন। কোথাও বেরিয়ে আসুন। সেটা হতে পারে, পাহাড়, সমুদ্র বা আপনার পছন্দের কোনো জায়গা। এই বিরতি আপনারকে পুনরায় ভালোভাবে কাজ করার শক্তি জোগাবে।
পছন্দের কাজ করুন
ভাবুন তো আপনি কী করতে ভালোবাসেন? বেড়াতে, বই পড়তে, গান শুনতে- যা ভালো লাগে তাই করুন। এই ছোট ছোট পছন্দের কাজগুলো আপনার মনের শক্তি জোগাতে কাজ করবে, মনকে আনন্দে রাখবে।
গান গাইতে পারেন
দ্রুত মন ভালো করতে গেয়ে উঠতে পারেন পছন্দের কোনো গান। গ্যারান্টি দিচ্ছি, মন ভালো হয়ে যাবে।
খেলাধুলা করুন
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রিত হোন, পাশাপাশি কিছু বন্ধুকে দাওয়াত করুন। এরপর সবাই মিলে মজাদার কোনো খেলা খেলুন। তবে ফোনে বা কম্পিউটারে খেলবেন না ।
গাছ লাগানো
গাছ লাগানো খুব ভালো একটা অভ্যাস। বাগান করা মনের খোরাক যোগায়। গাছ লাগানো ও গাছের পরিচর্যা আপনাকে প্রকৃতির কাছে নিয়ে যাবে, প্রকৃতির মতো উদার হতে সাহায্য করবে।