চাকচিক্য, প্রাচুর্য আর বিলাসিতার আরেক নাম দুবাই। বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বি অট্টালিকা, চোখ ধাঁধানো রঙিন আলোয় মোড়া দুবাই ভ্রমণপ্রেমীদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। এবার সেই শহরে তৈরি হল বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল রিসোর্ট ‘আটলান্টিস দ্য রয়েল’ ।
দুবাইয়ের হোটেল সংস্থা ‘কেরজনার ইন্টারন্যাশনাল’-এর এই রিসোর্টটি তৈরি করেছে। ২২ তলা এই রিসোর্টে মোট ৭৯৫ টি ঘর রয়েছে। অত্যাধুনিক এই রিসোর্ট তৈরি হয়েছে অত্যন্ত দামি পাথর এবং সোনা দিয়ে।
রিসোর্টের লবিতে প্রবেশ করলে মনে হতে পারে, ভুল করে কোনও রাজবাড়িতে ঢুকে পড়েছেন। কিংবা তার চেয়েও বেশি কিছু। সোনা আর চকচকে পাথরের ঝলকানিতে চোখে ধাঁধা লেগে যেতে পারে। রিসোর্টের কর্মীদের পরনে রাজকীয় পোশাক। লবি ধরে আর একটু এগোলে রূপকথার রাজ্যে এসে পড়েছেন মনে হবে। রিসোর্টের দেয়ালে দেয়ালে রয়েছে বহু বিখ্যাত শিল্পীদের হাতে আঁকা দুষ্প্রাপ্য ছবি।
রিসোর্টের প্রতিটি ঘরই অত্যন্ত বিলাসবহুল। রিসোর্টের সবচেয়ে দামি স্যুটের এক রাতের ভাড়া এক লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী টাকায় যার মূল্য ১ কোটিরও বেশি। এ ছাড়া এই রিসোর্টে পেন্টহাউসে থাকারও ব্যবস্থা রয়েছে। যার ভাড়া প্রতি রাতে ৫০ লাখ টাকা।
তবে আকাশছোঁয়া ভাড়া হলেও রিসোর্টের ঘরগুলো দেখলে বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। রাজাদের ঘরকেও হার মানাবে। আসবাবপত্র থেকে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা, সব কিছুতেই রয়েছে বিলাসিতার ছোঁয়া। সেই সঙ্গে প্রতিটি ঘরের বাথরুম দেখলেও মন ভরে যাবে। যেখানে রয়েছে সোনার টুথব্রাশ-চিরুনি এবং বিদেশের নামী-দামি কোম্পানির বিভিন্ন রকমের প্রসাধন সামগ্রী।
এছাড়াও প্রত্যেক অতিথিদের জন্য রয়েছে বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা। রিসোর্টের মধ্যেই রয়েছে প্রেক্ষাগৃহ। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় সেখানে বিভিন্ন ধরনের সিনেমা প্রদর্শিত। সেই সঙ্গে আছে স্পা, মাসাজ এবং রূপচর্চার আরও অনেক সুবিধা।
সূত্র: আনন্দবাজার
