হজমের সমস্যায় কমবেশি সকলকেই ভুগতে হয়। একটু বেশি খেয়ে ফেললে কিংবা একটু বেশি তেলেভাজা জাতীয় খাবার বা মশলাদার খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হজমের সমস্যা হতেই পারে। এ বার পেটের সমস্যা শুরু হতেই কিছু মানুষ ছোটেন ওষুধের দোকানে। সেখান থেকে অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ কিনে সমস্যার মোকাবিলা করতে চান।
তবে এ ভাবে গলা-বুক জ্বালা বা হজমের সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কারণ, এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে প্রথমে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে। না হলে কোনও ভাবেই পেটের রোগ সারবে না। তাই খাবার হজম না হলেই মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়া কিন্তু সমাধানের পথ হতে পারে না। দিন শুরুর আগেই কয়েকটি অভ্যাস মেনে চললে এই সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি খেয়ে
ঘুম ভাঙলে বিছানায় বসে চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, তা ভুলে যান। বদলে দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি খেয়ে। অনেকেই খালি পেটে উষ্ণ পানি লেবুর রস দিয়ে খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদদের মতে, হজমশক্তি বাড়াতে যে কোনও ভাবে পানি খেলেই হল।
প্রিবায়োটিকযুক্ত খাবার খান
সকালে জলখাবারে রাখুন ওট্স, বার্লি, চিয়া, ফ্ল্যাক্স সিড, কলা, আপেল, বিন্স বা বিভিন্ন রকম দানাশস্য। কারণ, এই সব খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে ফাইবার সমৃদ্ধ বা আঁশযুক্ত খাবার রাখতেই হবে। কিন্তু অনেকেরই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম করতে সমস্যা হয়। তাই রাতে নয়, এই ধরনের খাবার খেতে হবে প্রাতরাশে। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে আছে ওটমিল, শিমজাতীয় খাবার (মটর, শিম, ডাল), বার্লি, ফল ও সবজি (কমলা, অ্যাপল ও গাজর)। দ্রবণীয় আঁশের উপকারিতা অনেক। এর মধ্যে আছে রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কম রাখা, গ্লুকোজের মাত্রা সীমিত করা, ওজন কমানোসহ অন্ত্রের নড়াচড়া বাড়ানো।
শরীরচর্চা
ব্যস্ত জীবনে সময় কম। তবে তার মাঝেও সময় বার করে শরীরচর্চা করতে হবে। কারণ, শরীরচর্চার সঙ্গে বিপাকহারের যোগ রয়েছে। বিপাকহার ভাল হলে তবেই হজম ভাল হবে।
চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ
পরিশোধিত, কৃত্রিম চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া চলবে না। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেলেও হজমে সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ নষ্ট করে। ফলে হজমে সমস্যা হয়।