সঙ্গী অন্য শহরে চাকরি করেন, ছুটি পাননি। তাই অন্য দম্পতিরা যখন বড়দিন কিংবা আসন্ন নতুন বছরের উৎসবে মগ্ন, তখন আপনার সময় কাটছে একা একাই। এমন একাকীত্বে মন খারাপ লাগা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাই বলে যারা সঙ্গীর থেকে দূরে থাকেন, তাঁরা কি একাই কাটাবেন ঘরের কোণে? মোটেই না। বরং এই সময়েই ঝালিয়ে নিতে পারেন নিজেদের ‘লং ডিসট্যান্স’ প্রেম। শুধু মেনে চলুন কয়েকটি কৌশল। তাতেই দূর হবে একাকীত্ব।
১। প্রিয়জনের কণ্ঠের উষ্ণতায় দূরত্ব কমে: হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকের যুগে এখন বহু দম্পতি বা প্রেমিক-প্রেমিকাই কথা বলেন চ্যাটে। কিন্তু কথা তো কেবল কতগুলো অক্ষর নয়। কথা বলা বা বাচনভঙ্গির মধ্যে মিশে আছে বহু অনুভূতি। সঙ্গী দূরে থাকলে সেই অনুভূতিকে আরও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা দরকার। তাই সুযোগ পেলেই কথা বলুন ফোনে। প্রিয়জনের পরিচিত কণ্ঠের উষ্ণতায় দূরত্ব কমে আসে এক লহমায়।
২। পছন্দের কাজ একসঙ্গে করুন: কারও পছন্দ ফিল্ম দেখা, কারও কবিতা পাঠ। কাছে থাকলে একসঙ্গেই করা যেত কাজগুলি। কিন্তু দূরে থাকলে যে তা করা যাবে না এমন নয়। ইন্টারনেটের যুগে দূরে থেকেও সম্ভব অনেক কিছুই। ডিসকর্ড বা গুগল মিটের মতো মাধ্যমে একসঙ্গে ফিল্ম দেখা যায়। কোনও একটি সন্ধ্যায় একসঙ্গে সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করে ফেলুন। নিজেরা যা করতে উপভোগ করেন সেগুলি একসঙ্গে করুন। নৈশভোজও এ ভাবেই সারা যায় একসঙ্গে।
৩। ভালোবাসুন প্রাণ খুলে: দাম্পত্যের একটি বড় দিক শারীরিক নৈকট্য। কিন্তু দূরে থাকা মানে সঙ্গমও বন্ধ। তাছাড়া, প্রেমের প্রকাশেরও একটি মাধ্যম শরীরী ভাষা। বাসায় একা থাকলে, ফোন করতে পারেন সঙ্গীকে। কথার মাঝেই কখনও কখনও আনতে পারেন যৌনতার অনুষঙ্গ।
৪। চিঠির আদান-প্রদান কাছে আনে: মোবাইল ইন্টারনেটের আগেও তো মানুষ প্রেমে পড়তেন। তাঁদেরও অনেক সময় থাকতে হত দূরে। সে ক্ষেত্রে প্রেমের প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ছিল চিঠি। ভেবে দেখতে পারেন, পুরনো অভ্যাসে ফিরলে কেমন হয়! যাপনের অনেকটা জুড়ে যখন অপেক্ষা থাকে, তখন সেই অপেক্ষার শেষে কিছু একটা পাওয়া গেলে তার স্বাদ হয় অন্যরকম। চিঠি কিছুটা সে রকমই স্বাদ এনে দিতে পারে। দূরত্বে তৈরি বিপ্রলম্ভ শৃঙ্গারের রস, প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার কাছে পৌঁছে দিতে প্রেমপত্রের জুড়ি মেলা ভার।
