প্রত্যেক মা-বাবাই চায় তাদের সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হয়। তাদের মধ্যে যাতে কোনো খারাপ গুণ না থাকে। এটা তখনই সম্ভব যখন মা-বাবা তাদের সন্তানকে সঠিক পথ দেখাবে। এ ক্ষেত্রে পরিবার হচ্ছে একটি শিশুর সবচেয়ে বড় শেখার জায়গা। ছোট থেকেই একটি শিশু তার মা-বাবাকে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করে। তারা যা করেন, সন্তানরাও তাই শেখে। এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্য বিশেষ করে বড়দের আচরণের ছাপও কিন্তু ছোটদের মধ্যে পড়ে। তাই মা-বাবার পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের বিষয়টি খেয়াল রাখা সমান জরুরি।
এ ক্ষেত্রে ভারতের লাইফস্টাইল বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বোল্ডস্কাই অবলম্বনে জেনে নিন শিশুদের সামনে আপনার কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়-
বাসায় ফোন ও টিভি কম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। যদি সন্তান আপনাকে সারাদিন টিভি বা ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখে, তাহলে সেও আপনার মতোই একইভাবে সময় কাটাতে চাইবে। তাই যতটা সম্ভব টিভি ও ফোনের পিছনে কম সময় ব্যয় করুন।
জীবনে চলার পথে যে কারও সঙ্গে আপনার মতপার্থক্য থাকতেই পারে বা আপনি কাউকে অপছন্দ করতেই পারেন। আপনি যদি আপনার সন্তানের সামনে প্রতিবেশী, বন্ধু বা পরিবারের কোনো সদস্যকে অপমান করেন, তাহলে তা তার উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই তাদের সামনে আপনার ক্ষোভ প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন। মোথায় রাখবেন, আপনি এ রকম করলে আপনার সন্তানও সেই ব্যক্তিকে যে কোনো সময় অপমান করতে পারে। কেননা আপনি যা করবেন, তারাও সেটাই শিখবে।
আপনার সন্তানকে খাওয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করুন। জীবনে খাওয়ার গুরুত্ব কতটা তা তাদের বোঝান। আপনি নিজেও খাদ্য অপচয় করবেন না। তাদের এটা বলুন যে, খাবার নষ্ট করা খুব খারাপ অভ্যাস।
সন্তান আশেপাশে থাকলে স্বামী-স্ত্রী ভদ্রতা বজায় রাখুন। সন্তানের সামনে এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকুন, যা তাদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। সর্বদা শৃঙ্খলা বজায় রাখুন এবং ভালো আচরণ করুন। তাহলে ছোটবেলা থেকে শিশুরা সেভাবেই শিক্ষা নিয়ে বড় হবে।
খুব বিরক্ত হলে বা রেগে গেলেও সন্তানের সামনে কখনোই চিৎকার করবেন না। বরং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনি যদি আপনার সন্তানের সামনে এমনটা করেন, তবে তার মনে হতে পারে যে এটি করা ঠিক।।
কখনোই কারও গায়ের রং বা শরীর নিয়ে খারাপ মন্তব্য করবেন না। আপনি যদি এমন আচরণ করেন, তবে আপনার সন্তানও এই পথ অনুসরণ করবে।