শীত আসলেই চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও খুশকির মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। ফুরফুরে এই ঋতুতে তাই হাজার সাজগোজের পরেও যেন কোথাও আমাদের সৌন্দর্য ঠিকঠাক ফুটে ওঠে না। সেই কোমল, ঝলমলে চুল যে ফিরে পাওয়াটাই অনেকের কাছে দুঃসহ হয়ে ওঠে একটা সময়ের পরে। তবে কয়েকটি কাজ এড়িয়ে চললেই মিটে যেতে পারে এই সমস্যা।
১) এই সময় গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মাথা না ধোয়াই ভাল। তাতে রুক্ষ হয়ে যেতে পারে চুল। কারণ গরম জল চুল থেকে তেল শুষে নেয়। তাতেই চলে যায় চুলের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য।
২) শীতকালে শ্যাম্পু করেই হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোন অনেকেই। সেটিও সমস্যার কারণ হতে পারে। নিয়মিত চুলে তাপ দিলে তা রুক্ষ তো হয়েই যায়, সঙ্গে বাড়তে পারে চুল পড়ার সমস্যা। চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে। তালু শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। খুশকির সমস্যাও বাড়তে পারে।
৩) ভিজে চুলে না শুকিয়েই অনেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এটিও ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। ভিজে চুলে ঠাণ্ডা হাওয়া লাগলে চুল শুকোতে চায় না। পানি জমে যেতে পারে মাথায়। তাতে ঠাণ্ডা লেগে সর্দিকাশি তো হতেই পারে, সঙ্গে খারাপ হয়ে যেতে পারে চুলের মানও। দিনের পর দিন এভাবে পানি জমতে থাকলে একটা সময়ের পরে চুল পড়তে শুরু করে।
৪) বাইরের ধুলাবালি আর দূষণের কারণে অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করে থাকেন। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার ফলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে যায়। যার ফলে চুল হয়ে যায় রুক্ষ এবং শুকনো। আবার চুল নিয়মিত ভাল করে না ধুলেও কিন্তু খুব বিপদ। চুলের গোড়ায় ময়লা জমে খুশকিসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে।
যাদের নরমাল চুল তারা সপ্তাহে ৩ বার চুল ধুতে পারেন। যাদের রুক্ষ চুল তারা দু’দিন পরে একবার করে চুল ধুলে ভাল। আবার যাদের তেলতেলে চুল তারা অবস্থা বুঝে ২ দিন বা ১ দিন পর পরও চুল ধুতে পারেন। চুলে শ্যাম্পু করা না গেলেও পানি দিয়ে যাতে স্ক্যাল্প ভাল মত পরিষ্কার করা যায় সেদিকে নজর রাখুন। চুলে গরম পানির ব্যবহার যাতে না করা হয়, সেই দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র-টিভি৯