চাটপটি-ফুচকা কিংবা ফুচকা মুখরোচক খাবারের স্বাদ বাড়াতে তেঁতুলের তুলনা নেই। বাড়িতে তেঁতুলের ব্যবহার মানেই হয় তা কোনও ঘরোয়া কাজে, নয়তো খাদ্যে স্বাদ বাড়ানোর উপাদান হিসাবে। কিন্তু তেঁতুলের যে স্বাস্থ্যকর আরও কিছু দিক রয়েছে, তা জানেন কি?
রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন তেঁতুলের শরবত। আর এই সুস্বাদু শরবতেই ঝরবে আপনার ওজন।
তেঁতুলে হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। এই অ্যাসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে খিদে কমায়। খাবারে রাশ টানলেই ওজন বাড়বে না। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায়
ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গরম জলে তেঁতুল আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যেগুলি শারীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধেও তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকর।
দেখে নেয়া যাক কীভাবে বানাতে হবে তেঁতুলের শরবত
বেশ খানিকটা তেঁতুল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তেঁতুল নরম হয়ে গেলে ক্বাথ বের করে নিন। এ বার একটি গ্লাসে দু’চামচ তেঁতুলের ক্বাথ, ভাজা জিরে শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, বিটলবণ, গেলমরিচের গুঁড়ো আর এক চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে ঠাণ্ডা পানি মেশান। বরফ আর পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন তেঁতুলের শরবত।