রমজানে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যাভ্যাসে আসে বড় পরিবর্তন। ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু হয়, শেষ হয় মাগরিবের আজান শুনে ইফতার করার মাধ্যমে। বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে আলাদা খাদ্যাভ্যাস বলেই এসময় খাবারের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল হতে হয়।
এমন সব খাবার খেতে হবে, যেগুলো শরীরের জন্য বেশি উপকারী। সেহরি, ইফতার ও রাতের খাবারে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর সব খাবার। এ সময় কোন কোন খাবার খাবেন আর কী কী খাবেন না, সে বিষয়ে আজকের পরামর্শ।
অতিরিক্ত লবণ: অতিরিক্ত লবণ বা কাচা লবণ খাবেন না। কারণ লবণ পানির তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়। রোজায় বেশিরভাগ মানুষের ক্ষুধার চেয়ে পানির তৃষ্ণায় বেশি কষ্ট পেতে দেখা গেছে।
ফ্রাইড ফুডস: ভাজা পোড়া একদমই না। ভাজা পোড়া খাবার এ তেলের অধিক্য থাকে এবং অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকার পরে ভাজাপোড়া পেটে গ্যাসের সমস্যা করে। তাছাড়া ওজন আধিক্যের ব্যপার তো আছেই।
সাদা বা রিফাইন্ড খাদ্যদ্রব্য: ভাত, সাদা আটা, চিনি এবং চিনি জাতীয় খাবার। এই খাবারগুলো তে প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকলেও পুষ্টির পরিমাণ খুব কম। এই খাবারগুলো সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি দিলেও বেশিক্ষণ থাকে না।
চা বা কফি: চা বা কফি খাবার অভ্যাস যাদের আছে, তারা চেষ্টা করবেন শুধুমাত্র ইফতারের পর পরই পান করতে। কারণ চা/কফি ডায়ারিউটিক, অর্থাৎ ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ তৈরি করে ফলে দেহে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে।
সবশেষে সেহরি বা ইফতার এ একদমই বেশি বেশি খাওয়া যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করুন এবং রমজানে সুস্থ থাকুন।
কী কী খাবেন?
রমজান মাসে একটু ভেবে চিনতে খাওয়া দাওয়া করলে কোনো কষ্ট ছাড়াই সিয়াম পালন করা যাবে। তাই একটু সচেতন হই এবং সুস্থ ও সুন্দরভাবে সিয়াম পালন করি। শুভ হোক মাহে রমজান।