করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন-এর যৌথ সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি আয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহামারি মোকাবিলার মূলে রয়েছে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। যখন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের প্রয়োজন, ঠিক সে সময় কোভিড-তাড়িত অর্থনৈতিক অস্থিরতার ভীতিতে বিনিয়োগকারীরা এসব দেশ থেকে তাদের তহবিল সরিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে তহবিল ঘাটতির সৃষ্টি হচ্ছে।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা করার জন্য উন্নত দেশসমূহ ও বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। এবং স্বল্প-কার্বনভিত্তিক উন্নয়নে অর্থায়ন বাড়ানো ও সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর জোর দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের মূলে রয়েছে জীবন রক্ষার পাশাপাশি জীবিকার সংস্থান অব্যাহত রাখা, অতি ঝুঁকিপূর্ণদের বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা এবং লাগসই প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে অতিমারীর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করা।
তিনি আরও জানান, ২৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতিকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করেছে; যার ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬.৯৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, নির্ধারিত সময়সীমার আগেই মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকা দেওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ সভার লক্ষ্য হচ্ছে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা জোরদার করতে বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের একত্রিত করা। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব এবং ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর বিশ্বের ১৪টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং বেশ কয়েকটি দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।