রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীন একসাথে কাজ করতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-অবরোধ ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা-অবরোধে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীন একসাথে কাজ করতে পারে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে সমর্থন দেবে এবং একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশ চীনের সহযোগিতা চায়।
চীনা মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছ, রোহিঙ্গা ইস্যুটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে।
তিনি আরো বলেন, তৃতীয় পক্ষের সম্পৃক্ততার প্রয়োজন হলে চীন তার ভূমিকা পালন করবে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বাসস্থান নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নেও চীন বাংলাদেশকে সাহায্য করবে। ওয়াং ই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাইওয়ান ইস্যুতে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
বাংলাদেশ ‘এক চীন নীতিতে’ বিশ্বাসী এ কথা পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ চীনের সাথে তার বন্ধুত্বকে মূল্যায়ন করে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।