বরেণ্য অর্থনীতিবিদ, সৃজনশীল লেখক ও সাবেক বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান রচিত ‘ভাষার লড়াই, বাঁচার লড়াই’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানিকভাবে বইটির পাঠ উন্মোচন করেন দেশের বিশিষ্টজনরা।
‘ভাষার লড়াই, বাঁচার লড়াই’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন এবং বাংলা একাডেমি কর্তৃক ড. আতিউর রহমানের রবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্তি (২০২১) উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উন্নয়ন সমন্বয় ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
২১শে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক ড. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ খান। প্রকাশিত গ্রন্থটির ওপর প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী। বক্তব্য দেন আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মানিত অতিথিদের বইটি শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে প্রদান করেন ড. আতিউর রহমান।
আবেদ খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, আতিউর রহমান তাঁর অর্থনীতি বিষয়ক লেখালেখির মাধ্যমে উন্নয়নের জটিল বিষয়গুলো সহজ ভাষায় মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন এবং এ দেশের রাজনীতি ও ইতিহাস বিষয়ে লেখালেখিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে অমূল্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, “পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন যখন একটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলো তখন যারা দেশের নিজস্ব শক্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সাহস যুগিয়েছিলেন ড. আতিউর তাঁদের একজন। ভাষা আন্দোলন নিয়ে তাঁর গবেষণাতেও এদেশের মানুষের নিজস্ব শক্তি আমাদের মুক্তির আন্দোলনে যে ভূমিকা রেখেছে তা তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন।” ভাষা আন্দোলনের অন্তর্নিহিত চেতনাটিকে আমাদের মূলধারার উন্নয়ন ভাবনায় যথাযথ গুরুত্বের জায়গায় রাখার বিষয়টি ড. আতিউর তাঁর গবেষণার মাধ্যমে সামনে নিয়ে এসেছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ড. মনিরুজ্জামান।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ড. আতিউর বলেন, “নিজস্ব সংস্কৃতির শক্তির ওপর ভর করে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা এটি একশো মিটারের স্প্রিন্ট নয়। বরং একটি ক্যারাভান। তাই এই যাত্রায় সফলতার জন্য সমাজের সকল অংশীজনকে একযোগে কাজ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ড. আতিউর রহমানের আরও তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো- বাংলাদেশের অর্থনীতির সমকালিন গতি প্রকৃতি (ঐতিহ্য প্রকাশনি), রবীন্দ্র চিন্তায় দারিদ্র্য ও প্রগতি (বিশ্ব সাহিত্য ভবন), এবং Towards Golder Bengal: Thoughts of Tagore and Bangabandhu on Inclusive Development (জার্নিম্যান প্রকাশনি)।