প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন হাজি সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ মে ২০২২ ১৫:৩৪:৩৮ | আপডেট: ৩ years আগে
আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন হাজি সেলিম

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজি মোহাম্মদ সেলিম।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আত্মসমর্পণের আগে আদালতের বাইরে হাজী সেলিমের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণের আবেদন করেন হাজী সেলিমের আইনজীবী।

আবেদনে হাজী সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে হার্ড সার্জারির সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাক-শক্তিহীন অবস্থায় রয়েছেন হাজী সেলিম। তিনি দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলে থাকলে চিকিৎসার অভাবে ও বাক-শক্তিহীনের কারণে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে যেকোনো শর্তে তার জামিন আবেদন করছি। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। তাই আপিল শর্তে আত্মসমর্পণ পূর্বক তার জামিন আবেদন করছি।

এদিকে, দুদক দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম গত ২ মে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যান এবং ৫ মে দেশে ফেরেন। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাংসদ আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে এবং তার জামিন আদেশ বাতিল করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই রায়ের পর সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাজী সেলিম এমপি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন। সেই সাথে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা একই মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য।

সেলিমের জরিমানা অর্ধেক কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করেছেন হাইকোর্ট। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও এক বছর জেল খাটতে হবে।

এদিকে, ২০০৭ সালে সেলিমের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার একটি আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান সেলিম।

২০১১ সালে আদালত তার সাজা বাতিল করে, তবে দুদক পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এতে আপিল বিভাগ হাইকোর্টে আবেদনের পুনঃশুনানি করতে বলেন।

২০২০ সালে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার জন্য তার ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করার পর সেলিমের অনিয়ম আবারো আলোচিত হয়।