প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

আরও ২ কনটেইনার বিদেশি মদ জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জুলাই ২০২২ ২০:৩৯:৫১ | আপডেট: ৩ years আগে
আরও ২ কনটেইনার বিদেশি মদ জব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইয়ার্ডের শেড থেকে আরও দুই কনেটেইনার বিদেশি মদ জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

সোমবার চালান দুটি জব্দ করা হয়। মোংলা ও নীলফামারির উত্তরা ইপিজেডের দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে চালান দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

নতুন দুই কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পাঁচ কন্টেইনার মদ উদ্ধার হলো। এসব মদের চালানে ৬২ থেকে ৬৫ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার দুটি ও রোববার একটি চালান আটক করে কাস্টম ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার উপকমিশনার সাইফুল হক বলেন, বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড ও নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিডি কোম্পানি লিমিটেড চালান দুটি আমদানি করে। সুতা ও রেজিন ঘোষণায় চীন থেকে চালানগুলো আমদানি করা হয়েছে। আগের তিনটি চালান জব্দের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। জিজ্ঞাসা তারা জানিয়েছে, চীন থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও মদ আনা হয়েছে দুবাই থেকে।

সাইফুল হক বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর এবং পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) চালান দুটি জব্দ করে। বন্দরের এনসিটির সিএফএস শেডে কায়িক পরীক্ষা রয়েছে। চালান খালাসে কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করায় সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের নাম জানা যায়নি। আগে তিনটি চালান খালাসের দায়িত্বে ছিল জাফর আহমেদ নামের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। দুটি কন্টেইনার ২৫ থেকে ২৬ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছিল।

গত শনিবার নারায়নগঞ্জ থেকে আটক দুই কন্টেইনারে এক হাজার ৩৩০ কার্টনে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩১ হাজার ৬২৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। মদের শুল্কায়ন মূল্য ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। দুটি চালানে ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে জালিয়াত চক্র।

পর দিন রোববার চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে আটক চালানে ১২ কোটি ৪৫ লাখ শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে। চালানটিতে এক হাজার ৪৩০ কার্টনে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৫ হাজার ২০৪ লিটার মদ পাওয়া গেছে। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, বেপজার ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) জালিয়াতি করে নীলফামারীর চালান তিনটি বন্দরে এসেছিল। খালাসের দায়িত্বে ছিল নগরীর ডবলমুরিং থানার দোভাষ লেনের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান জাফর আহমেদ।