বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘সারাদেশে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যেমে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে আমাদের যে অভিযান তা জোরালোভাবে শুরু করেছি। আমরা আশা করি এর প্রভাব আস্তে আস্তে শুরু করেছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেই জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে আইজিপি গণপরিবহনে জনসচেতনতামূলক একটি লিফলেট বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রী ও চালকদের মাঝে বিতরণ করেন।
আইজিপি বলেন, ‘আমরা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা মহানগর মেট্রোপুলিটন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, জেলা পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, আনসার বাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। আমাদের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জনপ্রতিনিধিরা আছেন। ইতোমধ্যে সরকার বিভিন্ন রাস্তা প্রশস্তকরণ এবং যাত্রী সাধারণ যাতে সহজে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এ জন্য বিভিন্নমুখি পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা সব জায়গাতেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন পর্যন্ত যানচলাচল স্বাভাবিক আছে। তাই আশা করি মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, চন্দ্রায় রাস্তা প্রশস্তকরণ, বাইপাস রোড, ফ্লাইওভার তৈরি করার কারণে রাস্তার অবস্থা আগের চাইতে অনেক ভালো। আগে যাত্রী সাধারণের যে দুর্ভোগ দেখেছি এখন সে দুর্ভোগ আর নেই। এ অবস্থা আগামিতে আরও ভালো হবে। ঈদের সময় যাত্রীদের একটা বিশেষ চাপ থাকে সেই বিশেষ চাপের কারণে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়। এবারও আমরা এ রকম একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এছাড়াও সারাবছরের জন্য আমাদের স্বাভাবিক একটা ব্যবস্থা আছে সেটা চলমান থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন আহামেদ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি (ক্রাইম) হায়দার আলী, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে।
