পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লি যারা আসেন তাদেরকে এয়ারপোর্টে আয়োজকরা রিসিভ করে থাকেন। বিদেশি মুসল্লি আমাদের দেশে যাতে সুন্দরভাবে আসতে পারেন তাই ইমিগ্রেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের আসার পথে ট্রাফিক ব্যবস্থা যাতে সুগম হয় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা রেখেছি। তাদের সহায়তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত টুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।’
বুধবার বেলা ১১টায় গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে এসে ইজতেমা মাঠের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,‘সাধারণ মানুষের ইজতেমা মাঠে প্রবেশের সুবিধার্থে আমরা ম্যাপ তৈরি করে দিয়েছি। বিভিন্ন পয়েন্টে আমরা তাদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের নির্দেশনা টানিয়ে দিয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন পরিকল্পনা করে কোন বিভাগের গাড়ি কোথায় পার্কিং করা থাকবে, কোন রাস্তা কখন খোলা বা বন্ধ খাকবে সে নির্দেশনা দিয়েছি। পকেটমারসহ নানা অপরাধ কার্যকলাপ রুখতে আমাদের পেট্টোল টিম কাজ করবে। আমরা ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করব। সাদা পোশাক ও পোশাকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ বিভাগ ১৪টি কন্ট্রোলরুম তৈরি করেছে।’
আইজিপি আরও বলেন, ‘ইজতেমা স্থল ৯১টি খিত্তায় বিভক্ত। এই খিত্তাভিক্তিক আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) পাশাপাশি ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্জ, সিআইডি, নৌপুলিশ, এন্টিট্যারিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এর সঙ্গে সরকারের অন্যান্য বিভাগও সমন্বিত ভাবে কাজ করছে। আমরা একসঙ্গে সবাই মিলে একযোগে কাজ করছি, যাতে মুসুল্লীরা শান্তিপূর্ণভাবে এই আয়োজনে শরীক হতে পারেন। আমাদের আশা ইতোপূর্বে আমরা যেভাবে সফলভাবে হয়েছি, এর ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা এই আয়োজন সফল করব।’
ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে আইজিপির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান হাবিবুর রহমান, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেলোয়ার হোসেন ও গাজীপুর পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ আরও অনেকে।
