পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সড়কপথে কম সময়ে যাত্রীরা পৌঁছে যাচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয়। ফলে নৌপথে যাত্রী ভাটা পড়েছে। অন্যবারের মতো এবারও লঞ্চে ঈদযাত্রার জন্য অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনো বেশির ভাগ লঞ্চের কেবিন বুকিং হয়নি। এর আগে এই সময়ে লঞ্চের কেবিন নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেত।
ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে নৌপুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ঈদে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নিরাপদ রাখতে ঈদের আগের তিন দিন এবং পরের তিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে
এবং রাতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিআইডব্লিউটিসি জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে আগে ফেরি চলত ১৫টি। ঈদে চলবে ২০টি। আরিচা-কাজিরহাট রুটে আগে পাঁচটি ফেরির জায়গায় চলবে সাতটি। চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে চারটির জায়গায় ঈদে চলবে সাতটি ফেরি। ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে চারটির জায়গায় চলবে পাঁচটি, ঝাউপাড়া-নাজিরগঞ্জ একটির জায়গায় চলবে তিনটি। তবে লাহারা-ভেদুরিয়া রুটে আগের মতোই ঈদেও পাঁচটি ফেরি চলবে। মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া রুটে ড্রেজিং চলছে। সেখানে দুটি ফেরি আছে।
ঈদের আগে এ সময়ে সদরঘাটে বেশ কোলাহল থাকত। এবার পন্টুনগুলো ফাঁকা। টিকিট কাউন্টারগুলোয়ও ভিড় কম। পদ্মা সেতুর কারণে ৭০ ভাগ যাত্রী কমেছে লঞ্চের। বাকি ৩০ ভাগ যাত্রী পেতেই অনেক বেগ পেতে হয় সংশ্লিষ্টদের। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের ৪৩টি নৌরুটে ঢাকা নদীবন্দর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০টি লঞ্চ চলাচল করত। এখন ৩৮টি রুটে ৪০ থেকে ৫০টি লঞ্চ চলাচল করছে। এর মধ্যে হাতিয়া, ভোলা এবং চাঁদপুর রুটে কিছু যাত্রী হয়। আগে বরিশাল রুটে সাত থেকে আটটি লঞ্চ চলাচল করত। এখন দুই থেকে তিনটি লঞ্চ চলছে নিয়মিত। ঢাকা নদীবন্দর থেকে বিআইডব্লিউটিসির স্টিমারে ঈদের আগে দুদিন ও পরের দুদিন যাত্রী পরিবহনে বিশেষ ট্রিপ চালানো হতে পারে।