শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাতে হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগাতে হবে। এছাড়াও বেকার সমস্যা ও সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে।
সোমবার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনে (বিসিক) ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে দেশের শিল্প খাতের সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি শিল্পোন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিল্পোন্নত দেশ গড়ার লক্ষেই বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে ইপসিক অর্থাৎ আজকের বিসিকের গোড়াপত্তন করেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই বিসিক তার চেতনাকে লালন করে সারা দেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় বিসিক ভবনে স্থায়ী “বঙ্গবন্ধু কর্নার” স্থাপন করায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মন্ত্রী।
দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু কর্নারের” মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চালিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশে শিল্পায়ন করতে হবে। দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে ও বেকারত্ব দূর করতে হবে। তাহলে অচিরেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ উপহার দেয়া সম্ভব হবে বলেও আমরা আশাবাদী।
বিসিক ভবনে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’-এ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘জনকের ডাকে জাতির মুক্তি’ শিরোনামে শিল্পকর্ম করা হয়েছে।
সেখানে বিভিন্ন আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে মৃত্যু, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও ব্যক্তি জীবন, রাষ্ট্র পরিচালনা সব পর্যায়ের ফটোবায়োগ্রাফি দিয়ে কেন্দ্রটি সাজানো হয়েছে। এছাড়া সাল অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর জীবন বৃত্তান্ত ছবির সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন দুর্লভ দলিল, দেশি-বিদেশি পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধ সময়কালে প্রকাশিত সংবাদের ছবি ও আলোক চিত্রও স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নারে। আরও রয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা বেশ কিছু চিঠি, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বিভিন্ন বই।