কুমিল্লা জেলা পুলিশের আয়োজনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম (বার)। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ নারী কল্যাণ (পুনাক) সমিতির সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় কুমিল্লার পুলিশ লাইন্স মাঠে বেলুন ও পায়রা উড়ানো, মশাল প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি।
ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় কুমিল্লা জেলার সকল থানার পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেন। এছাড়াও ১০০ মিটার দৌড়, ২০০ মিটার দৌড়, বালিশ প্রতিযোগীতা, হাড়ি ভাঙ্গাসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় অংশ নেন জেলা পুলিশ সদস্যরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষন হিসেবে সাপের খেলা, বানর নাচ ও বায়স্কোপ দেখানো হয়। এছাড়াও আগত অতিথিদের জন্য বিভিন্ন ধরণের খাবারের স্টল বসিয়ে আপ্যায়ন করানো হয়।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, কুমিল্লার সাথে আমার আবেগ জড়িত। ১৯৯১ সালে আমার কর্মজীবন শুরু হয় কুমিল্লা থেকে। ৬ মাস কুমিল্লার দাউদকান্দি থানায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম এবং এখন কুমিল্লায় এসে খুব ভালো লাগছে।
জঙ্গিবাদের প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অনুযায়ী যে কোনো ধরণের জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। জঙ্গিরা কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগেই, আমরা তা দমন করে ফেলি। আমাদের গোয়েন্দা তৎফরতা সর্বদা অব্যহত আছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো নিজস্ব কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর কোনো চেষ্টা করা হলে আমরা এর মোকাবিলা করবো। যেকোনো ধরণের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সামর্থ্য আমাদের আছে। অতীত অভিজ্ঞতা, অর্জিত সক্ষমতা ও দক্ষতা দিয়ে আগামী দিনের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো: আনোয়ার হোসেন বিপিএম (বার) পিপিএম (বার), কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান, হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তা, কুমিল্লার সকল থানার অফিসার ইনচার্জসহ জেলা পুলিশের সদস্যগণ।