প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

কোত্থেকে, কবে আসবে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ?

টিবিপি ডেস্ক
২৫ জুলাই ২০২২ ১২:২৩:০৮ | আপডেট: ৩ years আগে
কোত্থেকে, কবে আসবে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ?

দেশে জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো, সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং এবং সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখাসহ নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকারি দফতরগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনাসহ নানা উদ্যোগ রয়েছে।

একই সাথে বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত না হবার অনুরোধ করে সরকারের বলেছে সেপ্টেম্বরের পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মুখপাত্র এবং পরিচালক শামীম হাসান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, পায়রা তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২য় ইউনিট, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ভারতের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্টসহ মোট ৪টি উৎস থেকে ওই বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা করছে সরকার।

তিনি বলেছেন, পায়রাতে যে তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, সেখান থেকে আসবে বিদ্যুৎ। এরপর রামপালে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে সেটাও চালু হয়ে যাবে এ সময়ের মধ্যে। আর ভারতের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট, সব মিলিয়ে চারটি উৎস থেকে ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করবো।

তার কাছে বিবিসির প্রশ্ন ছিল কবে নাগাদ সে বিদ্যুৎ আসবে?

জবাবে তিনি বলেছেন, এটা অক্টোবরের শেষ থেকে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে চলে আসার কথা।

বাংলাদেশে সাধারণ সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মত, যা শীত মৌসুমে নেমে দাঁড়ায় নয় হাজার মেগাওয়াটে।

গ্যাসের অভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হয়েছে। এখন ডিজেল কেন্দ্রগুলো বন্ধ করার ঘোষণা এলো।

গ্যাসের অভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হয়েছে, এখন ডিজেল চালিত কেন্দ্রগুলো বন্ধ করার ঘোষণা এলো

ফলে নতুন বিদ্যুৎ না পৌঁছালেও শীতে চাহিদা কম থাকার কারণেই পরিস্থিতি সহনীয় থাকবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।

এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে জানা যাচ্ছে, পায়রা তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২য় ইউনিট এবং রামপাল থেকে বিদ্যুৎ বিতরণের সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজ এখনো হয়নি।

ফলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ যে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রত্যাশার কথা লিখেছেন তার একটি অংশ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে পারে এ বছরের শেষ নাগাদ।

বাংলাদেশের একমাত্র বিদ্যুৎ সঞ্চালনকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বিবিসিকে বলেছেন, রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ঢাকায় বিদ্যুৎ আনার সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজ শেষ হতে নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে।

জ্বালানি সংকটের কারণে সারা দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের সরকার

তিনি জানিয়েছেন, পদ্মাসেতু থেকে দুই কিমি দূরে সেতু কর্তৃপক্ষ এজন্য তাদের টাওয়ার তৈরি করে দিয়েছে। এখন ওটার উপর আমাদের উপকেন্দ্র স্থাপন করে তারপর লাইন টানতে হবে। কিন্তু বর্ষাকালে বজ্রপাত হয় বলে প্রাণের হুমকি আছে, ফলে কাজটি কিছুটা ধীরগতিতে করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এটি শেষ হতে হতে নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি নভেম্বরের শেষ নাগাদই কাজ শেষ করতে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা