খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে; এবার ভোটের অপেক্ষা। ভোট হবে আগামীকাল সোমবার; চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার মো. আলাউদ্দিন বলেন, গতবারের মতো এবারও ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। তবে গতবারের চেয়ে ভোটকক্ষ বাড়ানো হয়েছে ১৭১টি। এবার ভোটকক্ষ এক হাজার ৭৩২টি। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি ও কেন্দ্রের সুবিধাজনক স্থানে দুটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। মোট ক্যামেরা থাকবে ২ হাজার ৩১০টি।
এবার ভোটে নেই বিএনপি। ফলে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়বেন পাঁচজন। ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়াই হবে ১৩৬ জনের মধ্যে। সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে প্রার্থী আছেন ৩৯ জন। মেয়রপ্রার্থীদের মধ্যে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন তালুকদার আবদুল খালেক। জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়ন পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম মধু। মাওলানা আবদুল
এদিকে নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে খুলনা মহানগরীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল থেকে তারা টহল শুরু করেছেন। খুলনা বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান জানান, প্রতিটি ইউনিটে ২০ জন করে ২২০ জন দায়িত্ব পালন করছেন।
এবার ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। নির্বাচন কমিশন থেকে তিন হাজার ইভিএম এরই মধ্যে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। আজ সকালে এসব মেশিন খুলনা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের আওতায় ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। এগুলোর মধ্যে এবার নির্বাচনে ১৬১টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ ও ১২৮টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে খুলনা মহানগর পুলিশ।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা বলেন, ‘বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সে ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে সাত পুলিশ ও ১২ আনসার এবং সাধারণ কেন্দ্রে সাত পুলিশ ও ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। তালিকা অনুযায়ী, ৪, ৬, ৭, ১০ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাদে অন্য সব কেন্দ্র রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায়। অন্যদিকে ১৩, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোনো কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই তিন ওয়ার্ডে ২৩টি কেন্দ্র রয়েছে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ৭১টি টহল টিম, ২০টি অতিরিক্ত মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও প্রতিটি থানায় স্ট্যান্ডবাই ফোর্স থাকবে। সব মিলিয়ে চার হাজার ৮২০ পুলিশ ও তিন হাজার ৪৬৭ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও মাঠে থাকবেন।