বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এতে দেখা যায়, মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের ফলাফলে টেবিলঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।
এদিকে ফলাফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ইভিএমে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ রেজাল্ট পেয়ে যাওয়ার কথা। সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ সময় পারে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দিনের ভোটের ফলাফল দিনেই দেওয়া ভালো।
তবে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা, মারামারি-হানাহানি বা কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন। ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভোটার এবং প্রার্থীরাও।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তারা সবাই বলেছেন নির্বাচন ব্যবস্থায় তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। নির্বাচনে যে ফলই আসুক না কেন তারা সবাই মেনে নেবেন।
সিসিটিভিতে কোনো অনিয়ম ধরা পড়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভোটাররা অনেক সময় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ও অনেকের ভোট আগে নেওয়া এ ধরনের কিছু জিনিস আমাদের কাছে ধরা পড়েছে। সেগুলোর বিষয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া দুটি কেন্দ্রে আমরা দেখেছিলাম, এজেন্ট ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তখন আমরা তাদের ফোন দিয়ে ও পুলিশকে খবর দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। প্রায় সাড়ে চার হাজার সিসিটিভিতে ভোট মনিটরিং করা হয়েছে। সিসিটিভিতে যেগুলো ধরা পড়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছে ১৮ জন। এবারের ভোটযুদ্ধে অংশ নেন ৩৩৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।