প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ: পানির হাহাকার কাটাতে বৃষ্টি কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ জুন ২০২২ ০৯:৫০:১২ | আপডেট: ৩ years আগে
সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ: পানির হাহাকার কাটাতে বৃষ্টি কামনা
সংগৃহীত

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সর্ভিসের কর্মীরা। প্রায় ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। কনটেইনারে রাসায়নিক দ্রব্য থাকায় ঘন ঘন বিস্ফোরণের ঘটছে। এর সঙ্গে ভুগতে হচ্ছে পানির সংকটে। পানির হাহাকার কাটাতে বৃষ্টি কামনা করছেন সবাই।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই একটানা কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ডিপো এলাকায় পানির স্বল্পতার সঙ্গে বাতাসের কারণে আগুনের তীব্রতা বেড়েই চলছে।

আরও পড়ুন- ‘কালেমা পড়েছি, ক্ষমা করে দিও’, বাবাকে মোমিনুলের শেষ ফোন

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল ডিপোতে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ৮টি ইউনিট এবং পরবর্তীকালে আরও ৮টি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার জানান, ডিপো এলাকায় পানির স্বল্পতা রয়েছে। কনটেইনারের কাছাকাছি গিয়েও আগুন নেভানোও যাচ্ছে না। একের পর এক বোমার মতো কনটেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে। দূর থেকে পাইপ দিয়ে পানি দেয়া হচ্ছে। শুরুতে কাছাকাছি গিয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল বাহিনীর ১০ জনের বেশি সদস্য আহত হন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে আরও একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। দগ্ধ ৬০-৭০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনের অবস্থা গুরুতর।