বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে জোয়ারের পানিতে ভাসছে পৌর শহরের নিম্না্ঞ্চল। প্লাবিত হয়েছে প্রায় ২০টি গ্রাম। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার দুই শতাধিক মাছের ঘের এবং কাঁচা-পাকা রাস্তা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, জোয়ারের পানিতে শহরের কাপুডিয়াপট্টি সড়ক, কাঁচাবাজার, কেজি স্কুল সড়ক, ফেরিঘাট এলাকার কালাচাঁদ মাজার এলাকা, সানকিভাঙ্গা, বারইখালী প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়াও ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন যায়গায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে প্রায় ২০টি গ্রাম।
নদীর তীরবর্তী বহরবুনিয়ার পশ্চিম বহরবুনিয়া, উত্তর ফুলহাতা, ঘষিয়াখালী, জিউধরার পালেরখন্ড, কাকরাতলী, শনিরজোড়, সোনাতলা, চন্দনতলা, জিউধরা, হোগলাবুনিয়ার বদনীভাঙ্গা, পাঠামারার ২ শতাধিক মাছের ঘের পানির নিচে।
ঘেরের বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় বেড়িয়ে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত ঘের ব্যবসায়ীরা।
পঞ্চকরণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার জানিয়েছেন, সোনাখালী থেকে দেবরাজের ৭ কিলোমিটার মিনি বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে। যে কোন সময় পানির চাপে বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে পানি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলেও জানান তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আকরামুজ্জামান জানান, বদনীভাঙ্গার বিএস রতমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১ কিলোমিটার ইটের রাস্তা ও মুসলিম ইটভাটা থেকে হাজিগঞ্জের ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি পানির জোয়ারে ভেঙ্গে গেছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, এ পর্যন্ত দুই শতাধিক মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসহ মাছের ঘেরগুলোর খোঁজখবর নিয়ে তালিকা করার জন্য মৎস কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।