প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

‘ডিম, দুধ ও মাংসকে অধিকতর নিরাপদ করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০১:৪৬ | আপডেট: ২ years আগে
‘ডিম, দুধ ও মাংসকে অধিকতর নিরাপদ করতে হবে’

ডিম, দুধ ও মাংসকে অধিকতর নিরাপদ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।

তিনি বলেন, উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। জনপ্রতি মাংসের প্রাপ্যতা দৈনিক ১৬০ গ্রাম এবং বছরে ডিমের প্রাপ্যতা ২০৮টিতে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্য পূরণে সাশ্রয়ী মূল্যে সবার জন্য ডিম ও মাংসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।

রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিপিএ) আয়োজিত দু’দিনব্যাপী পঞ্চম ডব্লিউভিপিএ এশিয়া মিটিং-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

সুস্বাস্থ্যের জন্য পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে মনজুর মোহাম্মদ বলেন, এ শিল্পের কাঙ্খিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বেসরকারি উদ্যোক্তা, শিক্ষক, গবেষক এবং সরকার একযোগে কাজ করছে।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)’র নির্বাহী সদস্য এবং ব্রিডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে পোল্ট্রি শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য়। গ্রাম থেকে শহরমুখী মানুষের যে স্রোত পূর্বে দেখা যেত পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশের কারণে তা অনেকাংশে কমেছে।

শাহরিয়ার বলেন, কিভাবে উৎপাদন খরচ কমানো যায় সেটিই এখন প্রধান বিবেচ্য। রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ কমাতে পারলে উৎপাদন খরচ এমনিতেই কমে আসবে।

তিনি বলেন, আমরা রপ্তানির কথা ভাবছি কিন্তু নিরাপদতার মাপকাঠিতে ডিম ও মুরগির মাংসের মান আরও বৃদ্ধি করতে না পারলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হবে।

গ্লোবাল ডব্লিউ.ভি.পি.এ প্রেসিডেন্ট নিকোলাস ইতেরাদোসি বলেন, বিশ্বব্যাপী রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ছে। পোল্ট্রি শিল্পের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভেটেরিনারিয়ানগণ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছেন।

ফ্রান্সের অপর এক গবেষক ক্রিস্টোফি কাজাবান বলেন, একসাথে একাধিক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে মুরগির মৃত্যুর হার বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কখনও কখনও লো-প্যাথজনিক ভাইরাসও হাইলি প্যাথজনিক ভাইরাসের মতো ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করছে।

ডব্লিউ.ভি.পি.এ বাংলাদেশ শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. বিশ্বজিৎ রায় বলেন, কোভিড মহামারি বৈশ্বিক সংক্রমণের ভয়াবহতাকে তুলে ধরেছে। তেমনি পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে এগিয়ে নিতে হবে এবং ভেটেরিনারিয়ানদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে মোট ১২টি প্লেনারী বক্তৃতা এবং ৭০টি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র ও পোস্টার উপস্থাপন করা হবে।

পোল্ট্রি ও জনস্বাস্থ্য (ওয়ান হেলথ) বিবেচনায় নতুনভাবে আবির্ভূত পোল্ট্রি রোগসমূহ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) প্রশমনে করণীয় বিষয়ে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন বিজ্ঞানীরা।