ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে।
এ দিন সকালে ডেনমার্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম. শহীদুল করিম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।
এরপরে দূতাবাস মিলনায়তনে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সন্ধ্যায় ডেনমার্কে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের শিশু, কিশোরদের নিয়ে দূতাবাস মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে দূতাবাস প্রাঙ্গণ। অনুষ্ঠানে ডেনমার্কস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে, অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিকে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রদূত ও রাষ্ট্রদূতপত্নী অনুষ্ঠানে আগত শিশু কিশোরদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একক আবৃত্তি ও দেশাত্নবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী শেষে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যে সকল শহীদ দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের আত্মত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বাঙালির জাতীয়তাবোধের চূড়ান্ত স্বপ্নপূরণে জাতির পিতার অসীম আত্নত্যাগের কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন।
একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে আহ্বান জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে বাংলাদেশ দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাবে।
তিনি নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বাধীনতার চেতনা প্রজ্বলিত করতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করতে উপস্থিত সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানান।
দূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশি খাবারের পরিবেশনায় সান্ধ্যভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।