প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে সার্কুলার ইকোনমি সামিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ জুন ২০২৩ ১৪:০৭:০৯ | আপডেট: ২ years আগে
ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে সার্কুলার ইকোনমি সামিট

১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সার্কুলার ইকোনমি সামিট।

‘বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিট‘ শীর্ষক এ সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ। লডস ফাউন্ডেশন সহযোগিতায় এ সামিট আয়োজনে অংশীদার হিসাবে রয়েছে পিফোরজি। এ আয়োজনে সহযোগী হিসাবে রয়েছে জিআইজেড, বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস এবং এইচএন্ডএম গ্রুপ।

দিনব্যাপী সম্মেলনে উদ্বোধনী সভাসহ ৪টি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা সভা, ৩টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা, ৩টি বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা, একটি গোলটেবিল বৈঠক এবং একটি ফায়ারসাইড চ্যাট থাকবে ৷

পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনগুলোর আলোচ্য বিষয়বস্তুসমূহ হলো যথাক্রমে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি – চক্রাকার অর্থনীতির দিকে অগ্রযাত্রা’, ‘সার্কুলার সিটিস’, ‘পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে চক্রাকার অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত করণে নীতির ভূমিকা’, এবং ‘বাংলাদেশে পোস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসাইক্লিংয়ের এর ক্ষেত্রে অর্জিত শিক্ষা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ’ এ ক্ষেত্রে প্রগতির জন্য ব্যবহারিক এবং বাস্তবসম্মত পরামর্শ এবং পদক্ষেপ।

এছাড়াও ‘সার্কুলার ইকোনমি সংক্রান্ত প্রচলিত ভুল ধারণা ও সঠিক ধারণা’, ‘বাংলাদেশে সার্কুলার ইকোনমি: চ্যালেঞ্জসমূহ এবং সম্ভাবনা’এবং ‘বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের সার্কুলার বিজনেস মডেল এবং ডিজাইন’ শীর্ষক ৩টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।

সামিটে আরও থাকবে ‘সার্কুলারটি গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৩’, ‘চক্রাকার ও টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মানের পরিকল্পনা’ এবং ‘বাংলাদেশে সার্কুলার ফ্যাশন প্রসারে উৎসাহিতকরণ’ শীর্ষক ৩টি উপস্থাপনা।

কীভাবে অধিকতর ও গুণগত কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে একটি সার্কুলার ইকোনমিতে উত্তোরণ করা যায় সে বিষয়ে একটি ফায়ারসাইড চ্যাট থাকবে, যেখানে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীগণ উক্ত বিষয়ে তাদের মুক্ত চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সার্কুলার ইকোনমি বা চক্রাকার অর্থনীতি হল প্রথাগত অর্থনীতির একটি বিকল্প। প্রথাগত অর্থনীতি চলে রৈখিকভাবে, যেখানে আপনি পণ্যদ্রব্য উৎপাদন করেন, ব্যবহার করেন এবং ফেলে দেন। অন্যদিকে সার্কুলার ইকোনমিতে আপনি সম্পদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ব্যবহার করেন এবং ব্যবহৃত পণ্য থেকে সর্বোচ্চ মূল্য সমপরিমাণ ভোগ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিটের লক্ষ্য হল সমান্তরাল থেকে চক্রাকার ব্যবসায়িক মডেলে পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ অন্বেষণ করা এবং দেশে চক্রাকার অর্থনীতির বাস্তবায়ন ও উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।’