২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ১৭ তম বার্ষিকী আজ। এ হামলায় দুজন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল। দিনটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল দেশ থেকে চরমপন্থা নির্মূল করার জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়ে ওই হামলায় হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ২০০৫ সালের এই দিনে দেশের ৬৩টি জেলার ৪৩৪টি স্থানে প্রায় ৫০০টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ১৫৯টি মামলার মধ্যে ডিএমপিতে ১৮টি, সিএমপিতে ৮টি, আরএমপিতে ৪টি, কেএমপিতে ৩, বিএমপিতে ১২, এসএমপিতে ১০, ঢাকা রেঞ্জে ২৩, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১, রাজশাহী রেঞ্জে ৭, খুলনা রেঞ্জে ২৩, বরিশাল রেঞ্জে ৭, সিলেট রেঞ্জে ১৬, রংপুর রেঞ্জে ৮, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৬ ও রেলওয়ে রেঞ্জে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।
সূত্র জানিয়েছে, গত ১৭ বছরে ৯৪টি মামলার বিচার ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে এবং ৫৫টি মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে সিরিজ বিস্ফোরণে ২৭ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয়। এদের মধ্যে আটজনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
এই বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে জেএমবি জাতির সামনে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশের অপচেষ্টা করে। কিন্তু ২০০৭ সালে জেএমবির শীর্ষ ছয় নেতার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে।
২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার দায়ে সংগঠনটির ছয় নেতা- শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাহউদ্দিনকে ফাঁসি দেয়া হয়।