প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

দেশে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ জুলাই ২০২২ ১৭:০৭:২১ | আপডেট: ৩ years আগে
দেশে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯

জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা দেশে তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন। যা বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। এক দশক আগে ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

গত এক দশকে দেশে জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত এক দশকের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন।

পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জনসংখ্যার হিসাব-নিকাশ স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।

২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়, এই সময় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম ওই জনশুমারিতে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।

এছাড়াও দেশে মোট তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ, এক দশক আগে যা ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা ঘনত্বের হার এক হাজার ১১৯ জন এক দশক আগে যা ছিল ৯৭৬ জন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।