নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কাশিপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো তিনজনে।
মঙ্গলবার রাত পৌনে দশটায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোনিয়া আক্তার (২৫) নামের ওই যুবতীর মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় তার বাবা সালাম মণ্ডল (৫৫) ও মঙ্গলবার মা বুলবুলি বেগমের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে।
সোনিয়া স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার স্বামীর নাম মো. সেলিম মিয়া।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোনিয়ার শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।’
মৃতদেহটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।
দগ্ধদের বাড়ি ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার দিয়াঘাট গ্রামে।
ঘটনার দিন রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে বাসার সবার শরীরে আগুন দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দু’জন আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে সালামের ছেলে গার্মেন্টস কর্মী টুটুল (২২) এর ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এবং স্কুল পড়ুয়া নাতনি মেহেজাবিন (৭) এর ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।