বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চার খলিফাখ্যাত নেতাদের অন্যতম ও জ্যেষ্ঠ নেতা, প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক, সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নূরে আলম সিদ্দিকীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি।’
সেই সাথে নূরে আলম সিদ্দিকীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মো. আবদুল হামিদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নূরে আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন এবং ৭০-এর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি (নূরে আলম সিদ্দিকী) মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির এই সাহসী সন্তানের অবদান পরবর্তী প্রজন্ম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
আরও পড়ুন - নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন
এদিকে, নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বুধবার ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নূরে আলম সিদ্দিকী।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ যে চার ছাত্র নেতাকে সে সময় ‘চার খলিফা’ হিসেবে অভিহিত করা হতো নূরে আলম সিদ্দিকী তাদের একজন।
নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া নূরে আলম সিদ্দিকী ছিলেন মুজিববাহিনীর অন্যতম সংগঠক।
১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী।