পদ্মা সেতু শুধু সেতুই নয়, এটি প্রকৌশল জগতে এক বিস্ময়। এই সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, ‘এক দশক আগে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর সময় এই প্রকল্পে যুক্ত ছিল বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা। তখন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক। টানাপড়েনের এক পর্যায়ে তাদের বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নির্মাণ কাজ শেষে আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হচ্ছে পদ্মা সেতু। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে এদিন সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন হয়।
প্রধান হুইপ নূর ই আলম চৌধুরীর উত্থাপিত এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন সরকারি ও বিরোধী দলের ৩৮ জন সদস্য। শেষে প্রস্তাবটি সর্বসস্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।
সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধসহ নানা ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেদিন নিজের টাকায় করতে পারব, সেদিন করব। আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে, যদি এটা না হয় আপনার ইলেকশনের কী হবে? আমার কথা- জনগণ ভোট না দিলে ক্ষমতায় আসবো না। ২০০১ সালেও তো আমাকে আসতে দেয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘একটি মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপরে। আমার মেয়েটাকে, আমার ছেলে, আমার বোন। তাদের ওপর যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে। তারা সবার ওপরে চাপ দিয়েছে। এ রকম অবস্থাতে আমি কিন্তু দমে যাইনি। সততা আমার শক্তি। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণকে অপমান করে কোনো কিছু করবো? এটা নয়।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘অপবাদ দিয়ে যখন পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিলো, তখন আমরা বলেছিলাম- আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করবো। অনেকে বোধহয় ভেবেছিলেন এটা অস্বাভাবিক। কিন্তু আমি বলেছিলাম, আমরা করতে পারব। এই আত্মবিশ্বাস আমার ছিল।’
৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পদ্মা সেতু এখন বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করিয়ে দেবে বলে আশাবাদী শেখ হাসিনা।