করোনার ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্ব যখন কিছুটা স্থিতিশীলতায় ফিরেছে ঠিক তখনই পরবর্তী মহামারির জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে প্রতিবেদন পেশ করার সময় ডব্লিউএইচওর প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুস এ সতর্কবার্তা দেন।
গেব্রিয়াসুস বলেন, করোনার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। যা গোটা বিশ্ব চমকে গিয়েছিল। গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট। তাই, পরবর্তী সময়ে যেকোনো মহামারি আঘাত হানলে আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক, সম্মিলিতভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে সেটি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ, পরবর্তী মহামারি করোনার চেয়েও মারাত্মক হতে পারে।
তিনি বলেন, করোনার জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা তুলে নেওয়া হলেও এর ঝুঁকি শেষ হয়নি। আরও নতুন নতুন রোগ সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কা আছে।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলো অর্জনের বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যার সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এছাড়া করোনা মহামারি ২০১৭ বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে ঘোষিত ট্রিপল বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিকেও ক্ষতির মুখে ফেলেছে।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহুান শহরে করোনা ভাইরাসের প্রথম উৎপত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর বাংলাদেশেসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় ৬৮ লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।