প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে ওয়াটার গ্রিড লাইন চালু করবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ অক্টোবর ২০২২ ১৯:১৭:০০ | আপডেট: ২ years আগে
পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে ওয়াটার গ্রিড লাইন চালু করবে সরকার

দেশে পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে গ্যাস-বিদ্যুতের মতো ওয়াটার গ্রিড লাইন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে কমিউনিটি ভিত্তিক সুপেয় পানি অবকাঠামোর টেকসই শাসন কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাস মডেলের একটি কেস স্টাডি’-শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, দেশে একশোটি অর্থনৈতিক জোন তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও অনেক নতুন শিল্পকারখানা হচ্ছে। যেখানে প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন হবে। পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
উপকূলীয় অঞ্চলের পানি লবণাক্ত হওয়া ছাড়াও দেশের কিছু কিছু এলাকায় নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ তৈরির মাধ্যমে জোন এবং সাব-জোন করে পানি সরবরাহ করতে পারলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকার ভূ-পৃষ্ঠের পানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থি পানির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে মোতাজুল ইসলাম বলেন সারা দেশে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওয়াটার ট্রিট প্ল্যান্ট স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে দেশের কোথাও পানির সংকট নেই বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সে লক্ষ্য পূরণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বেগুণে ২০৪১ সালের আগেই দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তির হবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডমুহাম্মদ বদরুল হাসান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।

প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সকলের জন্য উন্নত ও নিরাপদ পানির দুর্লভতা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। অনুমান করা হয় যে,বিশ্বের দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ এখনো নিরাপদ পানি পায় না।

সুপেয় পানির সঙ্কট নিরসনে কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাস (সিএম+) মডেলের রুপরেখা তুলে ধরে বদরুল হাসান জানান সিএমমডেল হলো একটি শাসন ব্যবস্থা যেখানে পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ব্যবহারকারীদের এবং সরকারী বস্তবায়নকারী সংস্থা বা স্থানীয় এনজিওগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। কোন পরিস্থিতিতে কমিউনিটি পানীয় জলের ব্যবস্থা টেকসই পরিচালনায় সিএমমডেলটি সফল হতে পারে সে বিষয়ে অন্বেষণ করাই ছিলো তার গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।

ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ডমো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আইনুল ইসলামের পরিচালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডতাসনিম আরেফা সিদ্দিকী,ঢাবির প্রোভিসি (শিক্ষাঅধ্যাপক ডএএসএম মাকসুদ কামাল,সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডজিয়া রহমান,ভূতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ডকাজী মতিন উদ্দিন আহমদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক লিয়াকত আলী খান, ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ড দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ফকার দে জ্যাগার।