ইমপ্যাক্ট এবং আউটপুট বিশ্লেষণ করে প্রকল্প গ্রহণের কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রকল্প গ্রহণের নামে সরকারি টাকা অপচয় করা যাবে না। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প পরিহার করতে হবে।
রোববার মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করীম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব হিসেবে পরিচিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শহরটি দেশের আইডল সিটি হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। দেশের অর্থনীতির দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরকে কোনোভাবেই অবমূল্যায়ন করার উপায় নেই।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে যে সকল প্রকল্প নেয়া হয়েছে, সেগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে, তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে। যদি কার্যকর না হয় অথবা যাচাই বাছাই না করে গ্রহণ করা হয়ে থাকে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
খাল ও ড্রেনগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, খাল দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং বানিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। খালের উপর দোকান-পাট বানানো হয়েছে। এগুলোর কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, কিছু মানুষের জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ট হতে পারে না। তাই বন্দর নগরীর সকল খাল দখলমুক্ত করতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে চাকতাই খাল খনন, কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংসহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।